গাজীপুর: সেশনজট নিরসনের দাবিতে সোমাবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে রাখে ‘সেশনজট নিরসন ছাত্র পরিষদ’। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাসড়কে বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।
পরে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সংগঠনটি তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে।
জয়দেপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেশনজট নিরসনের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাওয়ের পর ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করে বিভিন্ন কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থীরা।
সেশনজট নিরসন ছাত্র পরিষদের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় গেটে অবস্থান করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাঁচ ভাঙচুর করে।
এ সময় মহাসড়কের পাশে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খন্দকার রায়হান, রাসেল, রায়মন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ বছরের অনার্স কোর্স শেষ করতে ৭ বছর সময় ব্যয় হচ্ছে। ” এ অবস্থা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে নানা কর্মসূচির ঘোষণা করে তারা।
দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন সাইনবোর্ড দিয়ে অগ্নিসংযোগের পর কয়েক মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ সময় যানবাহনে থাকা যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। মহাসড়ক অবরোধ থাকায় রাস্তার উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর দেড়টার দিকে মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। পরে বেলা ২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১২
সম্পাদনা: রাফিয়া আরজু, নিউজরুম এডিটর