গাজীপুর: ১৯৯২-২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে ৬শ জনবলকে অব্যাহতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান গাজীপুর-৫ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলনের পক্ষে এ নোটিস পাঠান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০ পৃষ্ঠার এ নোটিসে বলা হয়- ১৯৯২-২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৬৫০ জনবল নিয়োগ করে। ওই সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্গানোগ্রাম না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৯২ অনুসারে ইউজিসির নির্দেশক্রমে শুধু ফাইলনোট দিয়ে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাই, নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিনা বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৫০ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি না দিলে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাল বিজ্ঞপ্তির অভিযোগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ৯৮৮ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। আদালতের রায়ের আলোকে আরও ২২৫ জনকে অব্যাহতি দিতে একটি লিগ্যাল নোটিস পাওয়ার পর জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে তাদেরও অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এবারের লিগ্যাল নোটিসে ৬৫০ জনের বেশি জনবলকে চাকরি থেকে অব্যাহতির শর্ত দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ১৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাফিজুর রহমান জয়দেবপুর থানায় পৃথক দু’টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। মামলা দু’টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে।
এ অবস্থায় আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়ে বর্তমান বিরোধী দলের সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন লিগ্যাল নোটিস দিলেন। তার দেওয়া নোটিসে অব্যাহতি চাওয়া ৬৫০ জনের মধ্যে উল্লিখিত একটি মামলার বাদী প্রভাষক হাফিজুর রহমানও রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১২
সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর