সিরাজগঞ্জ: ছাঁটাই এক শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে ও কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসন পরিচালিত সিরাজগঞ্জ কলেক্টোরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অনশন ও বিক্ষোভ করেছে।
বুধবার দুপুরে অনশন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
শহরের বাজার স্টেশনের স্বাধীনতা স্কয়ারে জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আতিকুজ্জামানকে প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যায়ভাবে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দু`ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করে।
পরে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কাউসার আলম, কাউহারুল হামিদ, জাকির হোসেন, হাবিবুল্লাহ বাহার, সাবেক ছাত্র রাহাদ সাইয়াদ ও মোস্তাফিজ করিম প্রমুখ।
তারা অবিলম্বে ওই শিক্ষককে ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দাবি জানান।
এদিকে, রেভিনিউ কলেক্টর ও কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সেলিম আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, "কলেজের উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্দিষ্টহারে টিউশন ফি আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। "
ছাঁটাই শিক্ষক আতিকুজ্জামান এ প্রসঙ্গে মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, "চাকরিজীবনের মূল্যবান ৬টি বছর আমি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য উৎসর্গ করেছি। তারপরও কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে আমাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। আমি গরিব মানুষ ও স্থানীয় নই। তাই, প্রাণভয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে ভগ্ন হৃদয়ে রাজশাহী চলে এসেছি। "
উল্লেখ্য, এর আগে ৩ শিক্ষককে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করা হলে শিক্ষক সুজালা ইসলাম জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারসহ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের ১৪ জনকে বিবাদী করে সিরাজগঞ্জ আদালতে একটি মামলা রুজু করেন।
পরে ছাটাইয়ের আদেশের বিপরীতে আদালত থেকে স্থিতাদেশ দিয়ে জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারসহ সবার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আদলতের আদেশ গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করলে সুজালা ইসলাম উল্লিখিতদের বিবাদী করে আবারও আদালত অবমাননার মামলা রজু করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২
সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর