ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে সোমবার দুপুর ১২টায় শিক্ষামন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আলোচনার জন্য বুয়েটের ডিন, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে তার অফিসে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ আমন্ত্রণ জানান। এ সময় শিক্ষামন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিক্ষা সংশ্লিষ্ঠ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে বুয়েটের বিরাজমান অস্থিরিতা নিরসনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীকে নিয়ে বৈঠক করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বুয়েটের ডিন, সব বিভাগের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট সিনিয়র শিক্ষকদের আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ”
বুয়েটের শিক্ষক সমিতির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কী-না’ এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “তারা ঘোষণা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারোর সঙ্গে বৈঠক করবেন না। সম্মানিত ওই সব শিক্ষকদের দাওয়াত করলে বিব্রত হবেন সে কারণে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। ”
মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, “তারা বার বার বলেছেন, সিনিয়র শিক্ষকদের বাদ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সে কারণে আমরা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করে সিনিয়র শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ”
যেসব শিক্ষক তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাদের ডাকা হবে কী-না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, “তাদেরও ডাকা হয়েছে। ”
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, “পদত্যাগ করলেই তো হয় না। পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করার বিষয় রয়েছে। যেহেতু তাদের পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়নি। সে কারণে তাদেরও আমন্ত্রণ জনানো হয়েছে। ”
আমন্ত্রিত সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক উপাচার্য আব্দুল মতিন পাটোয়ারী, এম এইচ খান, জামিলুর রেজা চৌধুরী, মীর মোবাশ্বের আলী, আবুল কাসেম, শিক্ষাবিদ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত, আইবির চেয়ারম্যান ও রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা।
বুয়েটের চলমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আন্দোলনরত শিক্ষকের দাবি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি পূনর্গঠনও করা হয়েছে তাদের পছন্দের শিক্ষকদের নিয়ে। ”
শিক্ষামন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও তারা আন্দোলন করেছে। তারা তদন্ত প্রতিবেদনটি পড়েও দেখেননি। ”
বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এতে আমি মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন। ”
তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দাবির মধ্যে ছিলো শিক্ষকদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আইনও পাস করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষক বর্তমান উপ-উপাচার্যকে নিয়োগ কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপাচার্যকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১২
এসএমএ/এসআর/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর