রাজউক মডেল কলেজ থেকে: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) সারা দেশের মধ্যে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ। গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষায়ও কলেজটি দেশসেরার তকমা কুড়িয়েছিলো।
এছাড়া ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় টানা তিন বার এবং ২০১১ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয় উত্তরা মডেল।
বুধবার প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলেও তাদের সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
কলেজটির এমন সাফল্যে তাই ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। আকাশ গলে ঝরতে থাকা শ্রাবণের ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শুরু হয় বাঁধভাঙা উল্লাস। কলেজ মাঠের জমাট কাদায় মনের আনন্দে দাপাদাপিও যেন উৎসবের অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে ওঠে। আসে ঢোল। রকমারি গানের হাট বসে যায় যেন।
শিক্ষার্থীদের এ উৎসবে শমিল হন শিক্ষক আর অভিভাবকরাও।
বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, কলেজটির প্রভাতী দিবা বাংলামাধ্যমে বিজ্ঞান বিভাগের ৬২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছে ৬১৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৩৫০ জনের মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছে ৩৩৬ জন, মানবিক বিভাগে ৯০ জনের মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছে ৪৬ জন।
এছাড়া ইংরেজী মাধ্যমে বিজ্ঞান বিভাগে ৮২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ৩০ জনের মধ্যে সবাই জিপিএ৫ পেয়েছে।
সব মিলিয়ে রাজউক মডেল কলেজ থেকে এবার ১ হাজার ১৭৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ১ হাজার ১১১ জনই জিপিএ৫ পেয়েছে।
এবার এ কলেজের জিপিএ প্রাপ্তির হার ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর পাসের হার শতভাগ।
ফল প্রকাশের পর বাংলানিউজকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক শিক্ষার্থী বলেন, “শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে রাজউক কলেজ দ্বিতীয়বারের মতো আবারও প্রথম স্থান লাভ করেছে। তাই আমরাই সেরা। রাজউকই সেরা। ”
কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার মোহা. গোলাম হোসেন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়রা অত্যন্ত মেধাবী। তারা তাদের ফলাফলে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। শিক্ষকরারও অত্যন্ত সচেতন। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে ভালো ফল ধরে রাখতে। অভিভাবকরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। পরিচালনাও কমিটি যথেষ্ট উদার। তারা আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে। এসব সব কিছুই আমাদের ফলাফলের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সাহায্য করেছে। ”
তিনি বলেন, “গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৮৪ শতাংশ। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ শতাংশ। আমরা ১০ শতাংশ উন্নতি করেছি। আগামীতেও এ ধারা বজায় রাখতে চাই। :
“আমরা নিজেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এবার ছাত্র-ছাত্রীদের বলেছি- তোমরা সেরা ব্যাজ। তারা আমার কথা রেখেছে। ”
অধ্যক্ষ আরও বলেন, “আমি একজন শিক্ষক ও পিতা হিসেবে অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা সেরা কলেজ। জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে আমরা সেরা। আমাদের মতো আর কোন কোন কলেজ এভাবে সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। ”
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
এমআইএইচ/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর