ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৭ দশমিক ৮৭ ভাগ

মিলন রহমান, জেলা সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২

যশোর: এবার এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৭ দশমিক ৮৭ ভাগ। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৩৭ ভাগ।



অথচ ২০০৯ সালে এ বোর্ড থেকে রেকর্ড সংখ্যক ৭৮ দশমিক ২৩ ভাগ শিক্ষার্থী এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

২০১০ সালে এ হার দাঁড়ায় ৬৭ দশমিক ৭৩।

২০১১ সালে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৩৭ ভাগ হলেও এ বছর পাসের হার অনেক ভালো।

পাসের হারের সঙ্গে যশোর বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৩শ ৭০ জন শিক্ষার্থী। এ বছর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২শ ২৯ জনে। ২০১০ সালে এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২ হাজার ২শ ৩৬ জন শিক্ষার্থী। ২০০৯ সালে এ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৩ জন। আর ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ হাজার ৭শ ৬৪ জন।

সে হিসেবে ৫ বছরের ব্যবধানে যশোর বোর্ড থেকে এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি বেড়েছে ৩ গুণেরও বেশি।


প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, যশোরে বোর্ডে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫ হাজার ৯শ ৮৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭১ হাজার ৯শ ৩৭ জন।

এর মধ্যে ছাত্র ৩৭ হাজার ৫শ ৭৮ জন ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ৩ শ৫৯ জন। পাসের হার ৬৭.৮৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ২শ ২৯ শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ৭৯ জন।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বোর্ডে ১১ হাজার ৮শ ৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮ হাজার ৯শ ৭৫ জন। পাসের হার ৭৫.৫৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৪শ ৮২ জন।

মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছিলেন ৬৭ হাজার ১শ ৪৬ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪১ হাজার ৬শ ৩৮ জন। পাসের হার ৬২.০১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ১শ ৯৩ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৬ হাজার ৯শ ৬৮ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাস করেছেন ২১ হাজার ৩শ ২৪ জন। পাসের হার ৭৯.০৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৫শ ৫৪ জন।

এ বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সেলিম বাংলানিউজকে জানান, যশোর বোর্ডের পাসের হার অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় কিছুটা কম হলেও ফলাফল গত বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। পাসের হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এবং পাসের সংখ্যা সবকিছুই বেড়েছে।  

তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতা ও পাঠে মনোযোগী হওয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের পাঠদানের ব্যাপারে আরও দায়িত্ববান হওয়া এবং অভিভাবকরা যদি সচেতন হন, তাহলে এ ফলাফল ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।