ঢাকা: এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঐতিহ্যবাহী এ কলেজ থেকে ১২৭৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
বাংলানিউজ: এ সাফলে আপনার অনুভূতি কি?
অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা: নিঃসন্দেহে এটা আনন্দের সংবাদ। সকাল থেকেই খুব টেনশনে ছিলাম। রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পর এ টেনশন দূর হয়েছে। মনে হল মাথা থেকে একটা বোঝা সরে গেছে। তবে অবশ্যই এমন রেজাল্টে আমরা সন্তুষ্ট।
বাংলানিউজ: এতে কার অবদান বেশি মনে করছেন?
অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা: একক কারও অবদানের কথা বলা যাবে না। শিক্ষকরা তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। আর শিক্ষার্থীরা আমাদের ভালো ফলাফল করার কথা দিয়েছিল। তারা সে কথা রেখেছে। আজ তারা ভালো ফলাফল এনে আমাদের গর্বিত করেছে। অভিভাবকদের সহযোগিতাও অস্বীকার করার মতো নয়।
বাংলানিউজ: অনেকদিন এ প্রতিষ্ঠান বোর্ডে প্রথম হচ্ছে না, এর কারণ কী?
অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা: আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আসলে আমাদের এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। অন্যান্য কলেজে এত শিক্ষার্থী নেই বলে তারা সহজে অবস্থান ধরে রাখতে পারছে। আমাদের পক্ষে সেটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব শিক্ষার্থীকে তো আর সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই একজন খারাপ করলেই পুরো প্রতিষ্ঠানের উপর সেই দায় এসে বর্তায়।
বাংলানিউজ: জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে, এর কারণ কি?
অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা: শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আগের চাইতে অনেক বেশি মনোযোগী হয়েছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তারা অনেক চেষ্টা করেছে। আর এবার বাংলা বিষয়কে সৃজনশীলের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলেও এবার জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পরিশ্রম করে বলেই এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
বাংলানিউজ: সৃজনশীল পদ্ধতিতে কি রেজাল্ট ভালো করার সম্ভাবনা বেশি?
অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা: হ্যাঁ, এই পদ্ধতিতে ভালো করে পড়াশোন চালিয়ে গেলে ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নিয়মিত ক্লাসে আসতে হবে, প্রতিদিনের পড়া ঠিকমত বুঝে নিতে হবে। আগামীতে বেশ কয়েকটি বিষয়কে সৃজনশীলের আওতায় আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করলে এতে ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
বাংলানিউজ: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অধ্যক্ষ মঞ্জু আর: বাংলানিউজকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
এমএ/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর