সিলেট: পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সেরা ২০টি কলেজের নাম ঘোষণা করেছে।
এবার সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সেরা কলেজগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে সিলেট ক্যাডেট কলেজ।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজের ৩০৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩০৩ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪২ জন।
তৃতীয় স্থানে থাকা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ৬৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬৫৮ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৪ জন।
চতুর্থ স্থানে থাকা সিলেট কমার্স কলেজ থেকে ২৯২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৯১ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৩ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা সিলেট এমসি কলেজ থেকে ৫৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪২ জন।
৬ষ্ঠ স্থান লাভকারী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দি-বার্ডস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৯৪ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯২ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪ জন।
সপ্তম স্থানে থাকা সিলেটের স্কলার্সহোম থেকে ২৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬ জন।
অষ্টম স্থান অধিকারী হবিগঞ্জের বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে ১ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৩০ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৪ জন।
নবম স্থানে থাকা সিলেট সরকারি কলেজ থেকে ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮৮৭ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১ জন।
দশম স্থানে থাকা এমসি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৩৬৪ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৬১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ জন।
এছাড়া ১১তম স্থানে থাকা তৈয়বুন্নেসা খানম একাডেমি কলেজ থেকে ৬৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬২২ জন। এ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন।
১২তম স্থান পেয়েছে জালালাবাদ কলেজ। এ কলেজের ৪০২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৮৪ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন।
১৩তম স্থানে থাকা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে ১ হাজার ২৯৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৬২ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৯ জন।
১৪তম স্থানে থাকা সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে ৭৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬৭১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন।
১৫তম স্থানে থাকা সিলেটের মদনমোহন কলেজ থেকে ১ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৩৭৩ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন।
১৬তম স্থানে থাকা মৌলভীবাজারের সুজা মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ৪৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৪০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন।
১৭তম স্থান লাভ করা শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ থেকে ১০১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮৫৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮ জন।
১৮তম স্থানে থাকা স্কলার্স হোম গার্লস কলেজ থেকে ৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন।
১৯তম স্থানে থাকা শচিন চন্দ্র কলেজ থেকে ৬০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫১৫ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।
সব শেষ ২০তম স্থানে রয়েছে সুনামগঞ্জের দিরাই কলেজ। এখানে ৪৯৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩৫ জন পাসসহ ১১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় এবার মফস্বলসহ একাধিক কলেজ নতুন করে উঠে এসেছে।
সেরা ২০ তালিকায় প্রথমবারের মতো উঠে এসেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দিরাই কলেজ, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের শচীন্দ্র কলেজ, সিলেট সদরের স্কলার্স হোম গার্লস কলেজ, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তৈয়বুননেছা খানম একাডেমি কলেজ, কমলগঞ্জের সুজা মেমোরিয়াল কলেজ।
এদিকে প্রথমবারের মতো সেরা ২০ এর মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে আসা সিলেট কমার্স কলেজের উল্লসিত শিক্ষার্থীরা নগরীতে আনন্দ মিছিল করেছে।
বুধবার দুপুরে ফলাফল পাওয়ার পরপরই শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে ব্যান্ড বাজিয়ে আনন্দ মিছিল করে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে গিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে।
সিলেট কমার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ মোস্তাক আহমাদ দীন বাংলানিউজকে বলেন, “এবারের ফলাফলে শিক্ষা পদ্ধতিতে গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসার সুফল পাওয়া গেছে। ’’
নিজ কলেজের শিক্ষার্থীদের এ কৃতিত্ব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল বলে অভিহিত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
ইএইচ/ সম্পাদনা: কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর