ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১১ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জনকারী প্রথম ১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে এ পুরস্কারের চেক তুলে দেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা হলেন, মো. রেজাউল ইসলাম, মো. মাহবুবুল হক ভূইয়া, তাহমিনা হক, আরিফা আলম, সারা মোনামি হোসেন, সুমাইয়া সিফাত, সাবিনা ইয়াসমিন, প্রণব ভৌমিক, মো. ফোরকান আহসান এবং মো. তারেকুজ্জামান শিমুল।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আখতার সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন স্মারক বক্তৃতা’ করেন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মরহুম অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, নিষ্ঠাবান ও আদর্শ শিক্ষক। তার সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ববোধ সকলের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। ”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, জাতি তা কখনো ভুলবে না। ”
তার আদর্শ অনুসরণ করে আলোকিত সমাজ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “সাংবাদিকতার মূল কাজ সত্যকে অন্বেষণ করা। ”
উপাচার্য ব্যক্তি, পারিবারিক ও রাজনৈতিক স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সত্য অন্বেষণ ও সর্বদা বস্তুনিষ্ঠতার চর্চা করার জন্য সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের কন্যা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অধ্যাপক সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১২
এমএইচ/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর