ঢাকা: ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা’ আদালতে তুলে ধরার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের চাওয়া বিচার বিভাগে যথাযথভাবে তুলে ধরা হোক। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকার যে দাবি, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল। ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারি।
তারা বলেন, গত চার বছরে শিক্ষকদের থেকে আমরা কখনোই এমন অনুভব করিনি যে, তারা রাজনীতি ফেরত চান। এ সংকটে আমরা শিক্ষকদের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান।
এর আগে বুয়েটের সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। দুপুরে হাইকোর্টের এ আদেশের পর বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘আদালত যেটা বলবেন, আমাকে সেটা মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। আমরা আদালত অবমাননা করতে পারব না। ’
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হয়। রিটটি করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
আরএইচ