ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

৫১৬৬ জন সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
৫১৬৬ জন সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতীকী ছবি

ঢাকা: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পাঁচ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃজনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে সংগীত বিষয়ে দুই হাজার ৫৮৩ জন এবং শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক দুই হাজার ৫৮৩ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে।

 আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির ১১তম সভায় এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সভায় ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার ২৯৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব উঠছে। এর বাইরে ছয়টি বিধিমালার সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হতে পারে।

জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পাঁচ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষক নিয়োগে পদ সৃজনের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রশাসনিক উন্নয়ন কমিটির সভার পর অর্থ বিভাগের সম্মতি নিয়ে সচিব কমিটিতে এই প্রস্তাব পাঠানো হবে। তারপর সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক সংস্কারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সময় নতুন করে এক লাখ ৬৯ হাজার ১২৪টি শিক্ষকের পদ সৃজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এসব পদের মধ্যে দুই হাজার ৫৮৩টি সংগীত, দুই হাজার ৫৮৩টি শারীরিক শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষকের পদ ৯৮ হাজার ৩৩৮টি এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ ৬৫ হাজার ৬২০টি।  

এই প্রস্তাবের মধ্যে সম্প্রতি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পদ অনুমোদন প্রস্তাবের সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন-কর্মসূচির (পিডিপি-৪) এর আওতায় এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় এসব শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। বেতন-ভাতার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এখন আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রয়োজন হবে। এরপর প্রস্তাবটি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হয়। সচিব কমিটি অনুমোদন দিলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেবে।

অন্যদিকে, প্রশাসনিক উন্নয়ক সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০২৩, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন অনুবিভাগ সৃজনের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়কে ছোট ক্যাটাগরি থেকে বড় ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
এমআইএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।