ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ডিজিটাল যুগেও সনাতন পদ্ধতিতে চলছে ইবির এমফিল-পিএইচডির ভর্তি

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
ডিজিটাল যুগেও সনাতন পদ্ধতিতে চলছে ইবির এমফিল-পিএইচডির ভর্তি

ইবি: ডিজিটাল যুগে এসেও সনাতন পদ্ধতিতেই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম। ফলে দূরদূরান্ত থেকে ক্যাম্পাসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হচ্ছে আগ্রহী প্রার্থীদের।

এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন আবেদন প্রার্থীরা। সেইসঙ্গে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমছে গবেষকের সংখ্যা।

জানা যায়, সম্প্রতি এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেটি আবেদন শুরু হয়েছে গত ২০ মে। যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ২৬ মের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, ইবি শাখায় বিবিধ রশিদে নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। পরে আবেদন পত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ৩০ মে এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।

অগ্রণী ব্যাংকের ইবি শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকে এমফিল ও পিএইচডির জন্য পৃথকভাবে ১০০টি করে মোট ২০০টি আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য থেকে আবেদনের প্রথম দুই দিনে ফরম বিক্রি হয়েছে মোট চারটি। প্রথম দিন দুইটি এবং দ্বিতীয় দিনে দুইটি। প্রথম দিনে ফরম নেওয়া আবেদনপ্রার্থীদের একই দিনেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফরম জমা দেওয়া সুযোগ থাকলেও দ্বিতীয় দিন ফরম নেওয়া আবেদন প্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। কারণ ২১মে থেকে ২৪মে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। ফলে আবেদনপ্রার্থীকে পুনরায় আসতে হবে ক্যাম্পাসে।  

অন্যদিকে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে ব্যাংক খোলা থাকবে দুইদিন (২৩ ও ২৬ মে)। ২৩ মে আবেদন ফরম সংগ্রহ করলেও ফরমটি জমা দিতে পুনরায় ক্যাম্পাসে আসতে হবে প্রার্থীদের।  

এভাবে প্রতিবছর এনালগ পদ্ধতির আবেদন নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তি প্রার্থীদের। এক্ষেত্রে সাধারণ আবেদনপ্রার্থীরা নিজেদের সঙ্গে মানিয়ে নিলেও সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন চাকরিরত ভর্তি প্রার্থীরা। এতে ইচ্ছা থাকলেও আবেদনের ক্ষেত্রে ভোগান্তির কারণে অনেকে আবেদন করতে আসেন না। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকের সংখ্যাও কমছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া সেকেলে হওয়ায় দেখা যায় অনেকের ইচ্ছা থাকলেও তারা পরে আর আবেদন করেন না। ফলে আমরা গবেষকও কম পাচ্ছি। কিন্তু আবেদনটা যদি অনলাইনে হতো তাহলে আবেদনের সংখ্যাটা অনেক বাড়তো। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই আবেদন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই যায় না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিকায়ন করা যায় এমন অনেক বিষয় জানার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নেয় না। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে সেকেলে পদ্ধতিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বেশি পছন্দ। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকায়নের দিকে হাঁটছে, সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকাংশে পিছিয়ে।

আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, এসব আবেদন এখন অনলাইনে সহজেই করা যায়। প্রশাসন যদি আইসিটি সেলকে বলতো তাহলে আবেদন প্রক্রিয়াটা অনলাইনে করে দেওয়া আইসিটি সেলের পক্ষে সহজেই সম্ভব। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি। প্রশাসন যেভাবে চেয়েছে সে প্রক্রিয়াতেই হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।