ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির সাথে নগর স্থিতিস্থাপকতা গবেষণায় ৫ কোটি বরাদ্দ দেবে ডিএনসিসি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
ঢাবির সাথে নগর স্থিতিস্থাপকতা গবেষণায় ৫ কোটি বরাদ্দ দেবে ডিএনসিসি কথা বলছেন ঢাবি উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাথে নগরের স্থিতিস্থাপকতা গবেষণায় আগামী অর্থবছরে উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী মিলনায়তনে ঢাবির ডিসাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্স বিভাগ ও আরবান আইএনজিও ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অষ্টম নগর সংলাপে মেয়র এ তথ্য জানান।

 

অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  

এছাড়া প্রথম পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগ্রাওয়াল, গ্লোবাল ওয়ান বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রায়হান মাহমুদ কাদেরীসহ প্রমুখ।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার খালগুলো আমরা দখলমুক্ত করেছি। এখন সময় এসেছে খালগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার। আমরা নিজের কথা ভেবেই সব খাল মেরে ফেলেছি, সবাই ‘আমি' নিয়ে ভাবে, 'আমরা' হয়ে কেউ ভাবে না। মানুষ সচেতন নন। ময়লার ফেলার কারণে জরিমানা করা হলে সচেতনতা কিছুটা বাড়তে পারে।  

তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত ৬টি দেশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। বিশ্বের সমস্যা দূর করতে তাদের একগুঁয়ে আসতে হবে। যুদ্ধের পেছনে তারা যা ব্যয় করে, তার ১০ শতাংশও যদি জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে ব্যয় করত, তাহলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো এত ক্ষতিগ্রস্ত হত না। স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বাঁচাতে বড় তহবিল গঠন করতে হবে।  

গাছ লাগানোর পাশাপাশি বড়ির সামনের গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন।  

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, উন্নত দেশগুলো আগে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারপর আরবান এলাকা গঠন করে। কিন্তু আমাদের দেশে আগে আরবান এলাকা তৈরি হয়, পরে পরিকল্পনা গৃহীত হয়। যদিও বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করে। অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠায় সেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না; যা বড় ঝুঁকি তৈরি করে।

তিনি বলেন, আমাদের সবুজায়ন কমে গেছে, নদী-খাল-বিলের পরিমাণও কমেছে। ফলে প্রতিনিয়তই শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, উদ্ভাবন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব বাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নগদ উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষক, স্টেকহোল্ডারস, সিটি করপোরেশন, এনজিও, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।