ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা খাতের আমূল পরিবর্তন দরকার, সেমিনারে বক্তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
শিক্ষা খাতের আমূল পরিবর্তন দরকার, সেমিনারে বক্তারা

ঢাকা: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ঢুকিয়ে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করা হচ্ছে। মানহীন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধাহীন জাতিতে পরিণত করা হচ্ছে।

তাই শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজন আমূল পরিবর্তন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে ‘শিক্ষার গুণগত মান ও বাজেট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই সেমিনারের আয়োজন করে শিক্ষা গবেষণা সংসদ।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রবের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বি এস ফজলুল হক, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই সিকদার, অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল আজিজ, সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. দেওয়ান সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম।

অধ্যাপক নূর নবী মানিকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষা গবেষক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।

মূল প্রবন্ধে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার নানা সংকটের কথা তুলে ধরে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বিচবেচনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি মেডিকেল ও বিজ্ঞানের সাথে একীভূত বাজেট না করে শিক্ষার জন্য মানসম্মত উচ্চ ও বড় বাজেট থাকা জরুরি। শিক্ষার্থীদের মেধা-মননের বিকাশ, দক্ষতা উন্নয়ন ও সহায়ক হিসেবে স্কলারশিপের ব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য আরও বাজেট প্রণয়ন দরকার। তাহলে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, বিকাশ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে এদেশে শিক্ষাখাত যথার্থভাবে যথাসময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যে দেশ শিক্ষা খাতে যত বেশি বরাদ্দ দিয়েছে, সেই দেশ তত বেশি উন্নতি করেছে। গরিব দেশগুলো শিক্ষা খাতে কম বরাদ্দ দেয়। বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নতি চায় না। তারা বিনা ভোটে আরও কীভাবে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে, সেই ব্যবস্থায় ব্যস্ত। তারা শিক্ষিত জাতি চায় না। মানুষের জ্ঞান সৃষ্টি হোক তা চায় না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অপরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। চাটুকারদের উপাচার্য হিসেবে বসানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞানের প্রবাহ কমে গেছে। অতি কৌশলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এর থেকে উত্তরণে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, যে বাজেটে খাবারের জন্যই পয়সা নেই, সেখানে শিক্ষা খাতের জন্য কী বরাদ্দ দেওয়া হবে? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ আশ্রিত। সচেতনভাবে এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে কোনো লাভ হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।