জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের ওপর আরোপিত নিয়ম সাময়িক সময়ের জন্য। বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে উঠে যাবার পর এই নিয়ম থাকবে না।
এই নিয়ম চিরস্থায়ী নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো: আনোয়ার হোসেন।
সোমবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের এক সভায় শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের ওপর বিধিনিষধসহ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার বিকাল ৪টায় আবাসিক হল খুলে দেওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের সংশ্লিষ্ট হলের আইডি কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা হলে প্রবেশ করতে পারবে।
এ সময়ে পর্যায়ক্রমে হল প্রশাসনের নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ী আবাসিক শিক্ষকরা হল গেটে উপস্থিত থাকবেন। ওই সময় ব্যতীত ছাত্র-ছাত্রীরা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পরবর্তীতে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গত রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে বিক্ষোভ করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র বৈধ ছাত্র-ছাত্রীরা থাকবে। আবাসিক হলসমূহে দখলদারিত্বের অবসান এবং শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ হলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।
এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় গৃহীত বিধি ব্যবস্থা সাময়িক, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা পেলে এই নিয়ম থাকবে না। এছাড়া শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে অথবা শিক্ষকদের পরিচিত সাপেক্ষে হলে উঠতে পারবে।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো পুলিশ নেই। পুলিশ অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র প্রশাসন চাইলেই ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করবে। তবে আমরা চাই না পুলিশ ক্যাম্পাসে আসুক।
সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, ন্যায় বিচার হবে এবং আমরা ন্যায় বিচার করবো। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে এবং সেটি একাডেমিক কাউন্সিলেও উঠেছে।
আগামী ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে হবে। এরমধ্যে বিভাগগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সভা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিভাগ থেকে ডিনদের মাধ্যমে আমরা সেগুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভায় আলোচনা করবো।
ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের জীব বৈচিত্র রক্ষা ও ক্যাম্পাসে পাখি না আসার কারণ হিসেবে ট্রান্সপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কেননা ট্রান্সপোর্ট সংলগ্ন লেক গুলোতেই পাখি বসে আর সেখানে দোকান আর গাড়ির কারণে কোলাহল লেগেই থাকে তাই পাখি বসার মতো পরিবেশ নেই।
তিনি বলেন, আমরা ছাত্র-ছাত্রী বান্ধব ও সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশ গড়তে চাই। এই জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, জনসংযোগ পরিচালক মীর আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৮১৯ ঘন্টা, আগষ্ট ২৭, ২০১২
ওয়ালিউল্লাহ/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর,নিউজরুম এডিটর,
সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
kumar.sarkerbd@gmail.com