ঢাকা: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল করে জারি করা ২০১৮ সালের পরিপত্রকে অবৈধ, অসাংবিধানিক ও বাংলাদেশের চেতনার পরিপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে মঞ্চের নেতারা এ বক্তব্য দেন।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা আবেগের বশে দিয়েছিলেন। রাষ্ট্র আবেগের বশবর্তী হয়ে ঘোষণা দিতে পারে না। তার জন্য আইন আছে, সংবিধান আছে।
তিনি বলেন, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অবশ্যই যৌক্তিক। এই তরুণরা বলে কোটা বৈষম্য। অথচ ছাগলকাণ্ড, এক কোটি টাকা দিয়ে গরু কেনার বিষয়ে তারা কোনো কথা বলেছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল। কিন্তু তারা কথা বলেনি। তারা মতিউরের মত, সাব-রেজিস্ট্রারের মতো চোর হতে চায়। তারা মনে করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তাদের জন্য হুমকি। কারণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তো দেশটাকে ভালোবাসেন, দেশের উন্নয়নে কাজ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল না হলে ‘সর্বাত্মক আন্দোলন’ গড়ে তুলে রাষ্ট্রকে তা মেনে নিতে বাধ্য করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ, অসাংবিধানিক, বাংলাদেশের চেতনা-পরিপন্থী। তাই হাইকোর্ট এটি বাতিল করেছেন। কোটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এটি বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিলেন। আমরা চাই, কোটা বহাল থাকুক।
তিনি আরও বলেন, কোটা বৈষম্য করে না। এটা সমান সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে। কোটার কারণে আজ নারীরা সরকারি চাকরি পাচ্ছে। জেলা কোটার কারণে শহরের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে গ্রামের ছেলেমেয়েরা সুযোগ পেয়েছে। সমান অধিকার নিশ্চিতে কোটার প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
আরএইচ