ঢাবি: ঈর্ষণীয় কৃতিত্ব দেখালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। ২০১০ সালের স্নাতক সম্মান পরীক্ষাায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ১৩ জনের ১০ জনই নারী।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ১০ ছাত্রী হলেন শামিমা নাসরীন (উর্দু), সৈয়দা ইফাত আরা (নাট্যকলা), মিনজুরা মালিক আজমী (ইংরেজি), শারমিন নাহার (ফারসি ভাষা ও সাহিত্য), সোমা দে (সংস্কৃত), জাফরিন রিজওয়ানা (ইতিহাস), তানজিনা মেহনাজ (দর্শন), নাজমা (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), শামিমা ইয়াসমিন (তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা) এবং তৌহিদা জাহান (ভাষাবিজ্ঞান)।
বাকি তিন ছাত্র হলেন হাবিবুল্লাহ (আরবি), মো: আবদুল হাদী (আরবি) সিরাজুম মুনিরা (ইসলামিক স্টাডিজ)।
এর মধ্যে পাঁচজন ডিনস অনার অ্যাওয়ার্ড এবং আট জন ডিনস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন
নারীদের এই সাফল্যের বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন সদরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, “বর্তমানে প্রত্যেকটি স্তরেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে। ছেলেরা বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নারী শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে লাইব্রেরি বা রিডিং রুমে সময় কাটাচ্ছে। ছাত্রীদের এই সাফল্যে আমরা খুশি। ”
এদিকে বৃহস্পতিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: তৌফিকুল হায়দার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দর্শন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক লতিফা বেগম।
এছাড়া বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বিভাগের অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম উপস্থাপন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “দেশের গ্রামীণ জনগণ তথা সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। ”
তিনি সুশিক্ষিত জাতি গঠনে পারিবারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই চলবে না, তাদের সৎ, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ভালো মানুষ হতে হবে। ”
তিনি বলেন, প্রকৃত শিক্ষিত লোককে কখনো হিংসা, বিদ্বেষ ও সংকীর্ণতা স্পর্শ করতে পারেন না।
উপাচার্য সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দু’জন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৮০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১২
এমএইচ/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর