ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েট: সুনাম ও খ্যাতি নিয়ে ১০ বছরে পদার্পন

মাহবুবুর রহমান মুন্না, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১২
কুয়েট: সুনাম ও খ্যাতি নিয়ে ১০ বছরে পদার্পন

খুলনা: সুনাম ও খ্যাতি নিয়ে ৯ পেরিয়ে ১০ বছরে পা রাখলো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।

২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী, শনিবার ১ সেপ্টেম্বর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে শনিবার ১ সেপ্টেম্বর ৯ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বর্ণিলরূপে সুসজ্জিত করা হয়েছে কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

কুয়েটের যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. এ এন এম মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন।

১০টা ৪০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্বোধন ও আনন্দ শোভাযাত্রা। সকাল সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ। ১১টা ৪০ মিনিটে রক্তদান কর্মসূচি। ১১টা ৫০ মিনিটে অডিটরিয়ামে সেমিনার। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আলোচনা সভা।

১টা ২০ মিনিটে জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মোড়ক উম্মোচন। দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৩টায় শিক্ষক বনাম ছাত্র প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। ৫টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোওয়া মাহফিল। সাড়ে ৫টায় ফিল্ম প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

এতে সভাপতিত্ব করবেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বাংলানিউজকে জানান, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে কুয়েট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম, সুখ্যাতি কুড়িয়েছে।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিক সম্প্রসারণের জন্য সরকারের আরও বেশি সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাণের ছোঁয়ায় মেতেছে শিক্ষার্থীরা।

তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক্স কৌশল অনুষদের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে কেন্দ্র করে সপ্তাহ জুড়ে তাদের মধ্যে উৎসাহ বিরাজ করছে।

একই প্রসঙ্গে রোকেয়া হলের পুরকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থী সায়মা জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তাদের মধ্যে ঈদের আনন্দের ন্যায় আনন্দ বিরাজ করছে। ’

তিনি আরও জানান, এ দিনটির জন্য তাদের এক বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা শহর থেকে ১১ কি.মি. উত্তরে খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশে ফুলবাড়ী গেটে অবস্থিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।

অনেক আগে এর নাম ছিল বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব টেকনোলজি, খুলনা তারও আগে, খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম একটি।

১৯৬৭ সালে খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় নামে এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৪ সাল থেকে। সে সময় ওই প্রতিষ্ঠানটিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। ১৯৮৬ সালে এটি বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব টেকনোলজি নামে স্বায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ নেয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দু`হাজার ৬শ ছাত্রছাত্রী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রকৌশল ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এখানকার শিক্ষক সংখ্যা ২৫০-এরও অধিক। প্রতি বছর প্রায় ৭শ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভর্তির সুযোগ পায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪টি বিভাগ এবং ৩টি অনুষদ রয়েছে।

অনুষদগুলো হচ্ছে, পূরকৌশল, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক্স কৌশল ও যন্ত্র কৌশল অনুষদ।

এছাড়া ১টি ছাত্রী ও ৬টি ছাত্র হল রয়েছে এখানে।

হলগুলোর মধ্যে অমর একুশেতে ৫৫০, লালন শাহতে ৩শ, ড. এম এ রশীদে ১৭৫, ফজলুল হকে ১৭৫, খান জাহান আলীতে ৩শ, রোকেয়ায় ৩শ ও বঙ্গবন্ধু হলে ৫৫০টি আসন রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির অঙ্গন সম্প্রসারণে একাডেমিক ভবন, অডিটরিয়াম কমপ্লেক্স, ছাত্রাবাস, গ্রন্থাগার, শিক্ষক ডরমিটরি ভবন তৈরি করা হয়েছে। আরও কিছু ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।

পাঠক আগামীকাল রোববার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন দেখতে বাংলানিউজের সঙ্গে থাকুন।


বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১২
সম্পাদনা: মাহাবুর আলম সোহাগ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।