ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবি থেকেই নির্দলীয় ভিসি নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও বিক্ষোভ 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
জবি থেকেই নির্দলীয় ভিসি নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও বিক্ষোভ 

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নির্দলীয় উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

বুধবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্ত্বরে এ গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। আগামীকালও দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলবে এ স্বাক্ষর গ্রহণ।  

এসময় বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন,  ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। এখনো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপক ভিসি হিসেবে নিয়োগ পায়নি। আমরা আমাদের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই উপাচার্য চাই। আমাদের দাবি একটি অরাজনৈতিক ও ন্যায় সঙ্গত দাবি।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব বলেন, আমি একবার একটা আবেদনপত্র অফিসে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আবেদনের কোন ফলাফল পাইনি। কারণ ভিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হয় নাই। আমাদের একটাই দাবি সকল ধরনের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে এবং দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। আমারা জীবন দিতে শিখে গেছি। আমরা রক্ত দিতে শিখে গেছি। প্রয়োজনে রক্ত আরো দিবো।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা দাঁড়িয়েছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে। জগন্নাথের হল ও মাঠ ভাড়াটে ভিসির কারণে হারিয়েছিলাম। আমারা বৈষম্যের শিকার হলে কোনো ভাবেই তা মেনে নিবো না। জগন্নাথ ছাত্ররা সকল বৈষম্য রুখে দেবে।

এসময় সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, আমাদের ১৫৬ জন প্রফেসর আছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের ভিসি আমাদের মধ্যে থেকে হবে। আমদের এমন ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়, যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু জানে না।  

তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য এখনো ভালো ল্যাব নেই। আমরা কেন ঢাবিতে ল্যাবের কাজের জন্য যাবো? আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের নামে অনেক ভিসিসহ প্রশাসনিক কর্মকতার লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা আমাদের নতুন ক্যাম্পাস হলেও আমরা এই ক্যাম্পাস কোনো দিন ছাড়বো না। ধূপখোলা মাঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত ভাবে দিতে হবে। এবং ভিসিসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা জগন্নাথ থেলে নিয়োগ দিতে হবে।  

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু লাইক বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে আমাদের শিক্ষকরা যেয়ে না চাইলেও ভাড়াটে ভিসির কারণে যেতে হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরিক্ষার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা জগন্নাথ থেকে ভিসি পেলে আশা করি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যেতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৭ ঘণ্টা,আগস্ট ২২,২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।