ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৩ নভেম্বর সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৫ সালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নতুন সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চ শিক্ষা নিতে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে বিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা গণমাধ্যমকে বলেন, এক সময় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু এটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চান। সে দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গত ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর জরুরি সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এ দেশে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়ে তারা অস্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, এমন মিথ্যাচারী রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত তারা গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে না, ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ ঢাবি কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখবে না।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবেন না। একইভাবে তাদের কোনো ছাত্রও আমরা নেব না।
সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রায় এক দশক পর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
আরএইচ