১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শোনো মহাজন, আমরা হাজারজন’ পারফর্মেন্স আর্ট উপস্থাপনা করেছেন একদল শিল্পী। উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গণআকাঙ্ক্ষাকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় উপস্থাপনাটি প্রদর্শিত হয়।
শিল্পী ও লেখক মোস্তফা জামানের ব্যবস্থাপনায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বাফট) একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থাপনাটি করেন।
শিল্পী আবু নাসের রবি বলেন, আমরা দীর্ঘ একটি পথপরিক্রমার মধ্য দিয়ে আজকের এখানে এসেছি। এখন একটা গণআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সে আকাঙ্ক্ষাটা যেন ধরে রাখা হয় এবং সেটি যেন আমাদের শান্তির পথে নিয়ে যায়, দুইপক্ষেই আমরা একটা আবহ তৈরি করেছি। অনবরত অঙ্গভঙ্গির প্রকাশের ভেতর দিয়ে শিল্পীরা এটা উপস্থাপনা করেছেন।
তিনি বলেন, এই গণআকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। উপস্থাপনার শেষের দিকে আমরা বলেছি, ‘ক্ষমতার পরিণতি খেয়াল করো, হে মহাজন’। মূলত মানুষের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা ভালো থাকা এবং সৎ জীবন যাপনের চেষ্টা করা। তাদের চাহিদা খুব সহজ এবং এর জন্য এত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ লাগে না। আমরা সেরকম একটি বার্তা দিতে চেয়েছি।
মোস্তফা জামান বলেন, আমাদের উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে মহাজনের প্রতি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, ধন, সম্পদ ও প্রাচুর্য সব মেকি। এসবের কারণে যে রাজনৈতিক ক্ষমতা তৈরি হয়, সেটাও মেকি। এখানে মনসা এবং তার বিরোধী চাঁদ সওদাগর, তার নৌকাডুবিসহ একাধিক প্রতীকী চিত্র দেখানো হয়েছে।
শিল্পী ও শিক্ষক আফসানা শারমিন ঝুমকা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু এরপরে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ যাচ্ছে। আমাদের নিশ্চুপ ধ্বনি অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হচ্ছে। সে কারণে প্রত্যেকে যদি নিজ জায়গা থেকে আওয়াজ তোলে এবং সজাগ থাকে, তাহলে আমরা একটা সুন্দর জাতি গঠন করতে পারব।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৪
এফএইচ/এসএএইচ