ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেয়ার অভিযোগ

শিক্ষামন্ত্রীর পিওন গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১২
শিক্ষামন্ত্রীর পিওন গ্রেফতার

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পিওন মোহাম্মদ আলী গত বুধবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

প্রায় শতাধিক লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে চাকরি না দেয়ার অভিযোগ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছে ডেইলিএডুকেশনডটনেট।

মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে কর্মরত।

মগবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির অফিস থেকে গ্রেফতার কারা হয় তাকে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় গত ৪ অক্টোবর।

অভিযোগে জানা গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রভাবশালী এক উপদেষ্টার [শিক্ষা উপদেষ্টা নয়] স্বাক্ষর জাল করে মোহাম্মদ আলী ঘুষ দাতাদের আশ্বস্থ করেছিলেন চাকরির ব্যাপারে।

অভিযোগেেআরও জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আলীকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করার পর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে রিমান্ড বাতিলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস ও তথ্য কর্মকর্তা।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ বাংলানিউজকে জানায়, গত রাতে মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জানা গেছে, প্রায় শতাধিক লোকের কাছ থেকে চাকরি দেবার নাম করে ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কথামত সংশ্লিষ্টদের চাকরি না দেওয়ায় তেজগাঁও পলিটেকনিকের কয়েকজন ছাত্র কদিন আগে তাকে আটক করে চাকরি দেবার দিনতারিখ ঠিক করে মুচলেকা নেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রীর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, “মোহাম্মদ আলী মুচলেকা দেয়ার পরও চাকরি দেননি। সবমেষে ঘুষদাতারা সরকারের প্রভাবশালী এক উপদেষ্টার কাছে গিয়ে অভিযোগ করেছে এই বলে যে, স্যার আপনার নাম করে টাকা নিয়েছে। এরপর গতরাতে উপদেষ্টা স্যার ফোন করে তাকে পুলিশে দেয়ার কথা বলেছেন। ”

তবে শিক্ষামন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, “হয়তো বিকেলে অফিসে আসবেন মোহাম্মদ আলী। মন্ত্রী দেশে নাইতো, তাই একটু দেরিতে আসবেন হয়ত। ”

মন্ত্রীর পার্সোনাল অফিসার  [বেসরকারি] জাকির হোসেনও ঘটনা অস্বীকার করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, মন্ত্রীর এপিএস মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ [মণি], তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী ও মোহাম্মদ আলী একই সিন্ডিকেটের লোক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও মোহাম্মদ আলী তার মেয়ের বিয়েতে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের হোয়াইট হল কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় ১৫০০ অতিথিকে আপ্যায়ন করেন। নামীদামী লোকেদের দাওয়াত করা হয় ওই অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ১১ অক্টোবর, ২০১২
একে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।