রাজউক কলেজ থেকে: সারাদেশের মেধা তালিকায় জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে তৃতীয় স্থানে আছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ। কিন্তু তৃতীয় স্থানে থেকেও প্রতিষ্ঠানটি প্রথম স্থানে আছে বলে দাবি করেছেন কলেজের প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমামুল হুদা।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে রাজউক কলেজ। তবে রেজাল্টের দিক থেকে আমি মনে করি রাজউকই সেরা। কারণ, অবস্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পাঁচশ শিক্ষার্থীর কম হলে ২ পয়েন্ট কম পেতে হয়। সেটিই হয়েছে আমাদের ক্ষেত্রে। যদি আমাদের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচশ ছাড়াতো তবে আমি রেজাল্ট প্রকাশের আগেই চোখ বন্ধ করে বলতাম সারা দেশে রাজউক আবারও সেরা।
আগামী বছর আরো ৪১০টি আসন অষ্টম শ্রেণিতে বাড়ানো হবে বলে জানান প্রিন্সিপাল ইমামুল হুদা।
প্রসঙ্গত, গত তিনবছর ধরে রাজউক জেএসসিতে সারাদেশে তিনবার প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এবারই সে স্থান থেকে সরে গেল প্রতিষ্ঠানটি।
রেজাল্ট প্রকাশের পরপরই কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা নেমে আসলেও পুরো রেজাল্ট শুনে উল্লাসে ফেটে পড়ে সকলে।
ফলাফল উপলক্ষে সকাল থেকেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কলেজে জড়ো হতে থাকলেও দুপুরের পর ফলাফল শুনে শিক্ষার্থীরা খানিকটা হতাশ হয়ে পড়ে। থেকে থেকে কিছু ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন বাদ্য হাতে মেতে উঠলেও যেন প্রাণ পাচ্ছিল না সে আনন্দ। তখন দুপুর দুইটার দিকে কলেজের প্রিন্সিপাল নিজেই নেমে আসেন শিক্ষার্থীদের মাঝে।
তিনি মাইকে ঘোষণা দেন, রাজউক পিছিয়ে যায়নি। তোমরা ফলাফলের দিক থেকে প্রথম স্থানেই আছ। মোট ৪১৭ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তোমরা ৪১২জন এ প্লাস পেয়েছ। বাকি যে পাঁচজন এ প্লাস পাওনি তাদের ব্যবধান খুবই সামান্য। সুতরাং লেখা-পড়ার বিষয়ে তোমরা অনেক উপরে। রেজাল্টে একটি ইতিহাস গড়েছো তোমরা। আমরা শুধুমাত্র সংখ্যায় পিছিয়ে গেছি। সংখ্যার দিকে থেকে ভিকারুন্নিসা বা মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ ১০ এ ১০ পেয়েছে। আর আমরা সেখানে পেয়েছি ৮। আমি আবারও বলছি তোমরা অত্যন্ত মেধাবী, আমি অন্তর থেকে তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
প্রিন্সিপালের বক্তব্যে যেন প্রাণ ফিরে পায় পুরো রাজউক কলেজ চত্বর। উল্লাসে ফেটে পড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভভাবকরা।
দেশের চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি উপেক্ষা করেও যেসব শিক্ষার্থী ফলাফল নিতে ছুটে আসে তাদের আনন্দ উল্লাসে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সুখকর হয়ে ওঠে চারদিকের পরিবেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর