ঢাকা: বিরোধী দলের গণতন্ত্র অভিমুখী যাত্রা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য সারাদেশ থেকে নয়াপল্টনমুখী জনস্রোতের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর রোববার বিরোধীদলীয় নেতার আহ্বানে ১৮ দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য সারাদেশ থেকে নয়াপল্টনমুখী জনস্রোতের ওপর সরকারের মদদপুষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী যে নির্মম ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তাতে পুরো জাতি হতবাক।
বিশেষ করে হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের ওপর হামলা, জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের অমানবিক অত্যাচার, সুপ্রিম কোর্টে লাঠি-অস্ত্র নিয়ে আইনজীবীদের ওপর আক্রমন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিরোধীদলীয় নেতাকে তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে এবং তাকে বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সরকার স্বৈরাচারী মনোভাবের শেষ নিদর্শন স্থাপন করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব হামলা ও নির্যাতন ১৯৭২-৭৫ সালের বাকশালী শাসনামলকে স্মরণ করে দিচ্ছে। আওয়ামী পুলিশ বাহিনী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের ঢাকামুখী অভিযাত্রাকেও সিঅ্যান্ডবির মোড় থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করেছে।
ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে ।
বিবৃতিদাতাদের পক্ষে: অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক মো. এনামুল হক খান, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক কাজী আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা, অধ্যাপক মো. মজিবর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. মনজুরুল করিম, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক ফিরোজা হোসেন, অধ্যাপক মো. সালাউদ্দিন, অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক মাহবুব কবির, অধ্যাপক মো. শামছুল আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক নাজমুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা পারভেজ, অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক খ. ম. শরিফুল হুদা, অধ্যাপক মো. মফিজুল কবির, অধ্যাপক মো. জহির উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক মনজুর এলাহী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফারুক, অধ্যাপক মোহা. তালিম হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক এমদাদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিন, অধ্যাপক মোকাম্মেল এইচ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. ছালেহ আহমেদ খান, ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর, কামরুন নেছা খন্দকার, চৌধুরী গোলাম কিবরিয়া, ড. সোমা মুমতাজ, ড. মোহাম্মদ মামুন হোসেন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মোঃ জামাল উদ্দিন, ড. মো. নূরুল ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান, মাসুম শাহরিয়ার, ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, তাসমিনা রহমান, ড. এ এন এম ফখরুদ্দিন, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, ড. আবেদা সুলতানা, ড. শামীমা সুলতানা, ড. মো. ইব্রাহিম খলিল, গাজী মোশারফ হোসেন, মো. আবদুল হালিম, মোছা. তমালিকা সুলতানা, নাসরীন সুলতানা, এমাদুল হুদা, সাবেরা সুলতানা, জয়ন্ত সিংহ রায়, ড. আবু ফয়েজ মো. আসলাম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. কামরুল হাসান, ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, মো. নজরুল ইসলাম, ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ড. নাহিদ আখতার, মো. কামাল হোসেন, নাহরীন ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. ফয়সাল জামাল, আমিনুর রহমান খান, আবদুর রাশিদ, তাহমিনা আক্তার, শামছুন নাহার, ড. মো. সালেকুল ইসলাম, জেসমিন আক্তার, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বোরহান উদ্দিন, মাফরোজ আহমেদ বসুনিয়া, তাসলিমা নাহার, মো. নূরুল হক, এস এম মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর