ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকে কমেছে ঝরে পড়ার হার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
প্রাথমিকে কমেছে ঝরে পড়ার হার

ঢাকা: প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর পাঁচ বছর এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার চার বছরের ফল পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০০৯ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়। পরের বছর চালু হয় ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা।

শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৩০ জন অনুপস্থিত থাকলেও এবার এই সংখ্যা কমে হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ১৩ জন। অর্থাৎ এ বছর কমেছে ৪৫ হাজার ৯৫৪ জন।

এছাড়া ২০১২ সালে অনুপস্থিত ছিল এক লাখ ৬০ হাজার ৭৮৪ জন, ২০১১ সালে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৭৪ জন। ২০১০ সালে অনুপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ ১৬ হাজার ৩৯০ জনে দাঁড়ালেও ২০০৯ সালে ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৩০ জন।

অন্যদিকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২০১০ সালে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৬ হাজার ৭৪২ জন। ২০১১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৮ হাজার ৯৮৯ জনে। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৩৯৬ জন।
এ বছর অনুপস্থিতির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ২১৩ জনে।

দুই সমাপনী পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গত বছরগুলোর তুলনায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া তথা অনুপস্থিতির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার শতভাগের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। সহস্রাব্ধ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্য ঝরে পড়ার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং সমতা অর্জন করা।

আগামী দুই বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে উচ্চ শিক্ষায় ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সমতা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে
এদিকে গত বছরগুলোর তুলনায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে এসেছে।   এ বছর বহিষ্কৃত হয়েছে ৩৬ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩১ জন।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২০০৯ সালে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২২ জন, ২০১০ সালে তা বেড়ে ৫৯৩ জন হলেও ২০১১ সালে তা কমে হয় মাত্র দুই জন। ২০১২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ২০ জন এবং এ বছর ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

অপরদিকে এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২০১০ সালে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। ২০১১ সালে তা কমে হয় ১৯ জন। ২০১২ সালে তা আরও কমে ১১ জন এবং এ বছর হয়েছে মাত্র ১০ জন।
 
বাংলাদেশ সময়:২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।