ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘ওরা সবাই পাস করেছে’

মিলন রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৪
‘ওরা সবাই পাস করেছে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: ওরা কেউ মা-বাবার হাত ধরে স্কুলে যায় না। আসেও না।

পড়ে না শহরের নাম করা কোনো স্কুলে। ওদের অভিভাবকরাও সারাক্ষণ ব্যস্ত জীবিকার সন্ধানে।

বস্তিবাসী এই শিশুদের বাড়িতেও নেই লেখাপড়ার পরিবেশ। তারপরও তারা সবাই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

যশোরে হতদরিদ্র পরিবারের ৮৮টি শিশু এবার ৪টি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন।

স্কুলগুলো হলো- নাজির শংকরপুরের শিশুস্বর্গ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোপ ধানপট্টির বনফুল প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টেডিয়ামপাড়ার অংকুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বারান্দিপাড়া মোল্লাপাড়ার অগ্রণী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ চারটি স্কুলই জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নিজস্ব তহবিলের অর্থায়নে ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। আর এ স্কুলগুলোর সব শিক্ষার্থীই হতদরিদ্র পরিবারের।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসিব নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, এ ৪টি স্কুল থেকে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় ৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে।

এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, ‘এ’ পেয়েছে ৬১ জন, ‘এ-’ পেয়েছে ১১ জন এবং ‘বি’ পেয়েছে ৮ জন।  

হাসিব নেওয়াজ জানান, এই শিশুদের জন্য প্রাইভেট শিক্ষকের ব্যবস্থা করা বা তাদের কোচিং সেন্টারে পাঠনো তো দূরের কথা, ছেলেমেয়েরা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে কিনা সে খবরও রাখতে পারে না তাদের বাবা মা। বাড়িতে ভুল পড়লেও শুধরে দেবার কেউ নেই।

কেবল মাসে একদিন স্কুলের অভিভাবক সভায় তারা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খবর জানতে পারেন। স্কুলের তত্ত্বাবধানেই চলে এদের শিক্ষা কার্যক্রম।

এভাবেই এ শিশুরা প্রাথমিকের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। এই সাফল্যে তাদের মনে যেমন স্বপ্ন দানা বেঁধেছে, তেমনি অভিভাবকরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন এদের নিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৪
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।