ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রফেসর আবদুল খালেক এনবিআইইউ’র ভিসি

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৪
প্রফেসর আবদুল খালেক এনবিআইইউ’র ভিসি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এনবিআইইউ) উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

বুধবার দুপুরে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারপারসন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক রাশেদা খালেক উপাচার্যের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।



পরে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালকসহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।

তিনি আরো বলেন, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১০টি বিষয় নিয়ে যাত্রা শুরু করছে। বিষয়গুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্ট্যাডিজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ, ফোকলোর, বিজনেস স্ট্যাডিজ এবং আইন।

নতুন ভিসি আরো বলেন, নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি শুধু উপাচার্য নই, রাজশাহী মহানগরে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনে আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। বলা যেতে পারে এর পেছনে আমাকে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে, আমার জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করতে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে তৎকালীন সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবার পর আমিই সর্বপ্রথম রাজশাহী মহানগর এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। সেই লক্ষ্যে ২০০৯ সালে রমজান মাসে চেম্বার অব কমার্স বিল্ডিংয়ে রাজশাহী মহানগরে ‘উচ্চশিক্ষার সংকট’ শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিলাম।

রাজশাহী মহানগরে উচ্চশিক্ষার সংকট পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমি উল্লেখ করেছিলাম, রাজশাহী মহানগরকে শিক্ষানগরী বলে চিহ্নিত করলেও তুলনামূলকভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাজশাহী মহানগর অনেক পিছিয়ে পড়েছে। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকেই আমার এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। পরবর্তীতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকার কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভালমানের শিক্ষার জন্য উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষক, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শিক্ষাদানের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। দেশের উত্তরাঞ্চলের অভিভাবকদের আর্থিক সমস্যার কথা আমাদের অজানা নয়। অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে প্রফেসর আবুল কালাম সুলতান আহমদ খান বিশেষ মোনাজাত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৪
সম্পাদনা: শামীম হোসেন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।