ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্র‍তিষ্ঠার ৪৪ বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ওয়ালিউল্লাহ, জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৪
প্র‍তিষ্ঠার ৪৪ বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১২ জানুয়ারি। ১৯৭১ সালের আজকের এদিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দেশের একমাত্র আবাসিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪৪ বছরে পদার্পন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিনব্যাপী আয়োজন করেছে নানা কর্মসূচির।



রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলাভবন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন ঘোষণার পর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হবে। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা ও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান। একই স্থানে বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, মাত্র ৪টি বিভাগ, ১৫০ জন ছাত্র ও ২৩ জন শিক্ষক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী, ৬ শতাধিক শিক্ষক ও প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। গত ৪৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে অনেক।

এক নজরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়:
১৯২১ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ, বাংলাদেশে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপরেও এ অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণ না হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা ও শিক্ষিতজন একটি আবাসিক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করেন। ১৯৬৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যকরী সংসদ পরিকল্পনাটি অনুমোদন করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার সালনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।

পরে ১৯৬৭ সালে ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিট‍ার দূরে সাভারে নিরবিিিল পরিবেশে নতুন স্থান নির্বাচন করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পশ্চিম পাশর্ েএই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সরকার ড. সুরত আলী খানকে। বাস্তুকলাবিদ প্রকৌশলী সংস্থা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ করে।

১৯৬৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ঢাকার আদি নাম জাহাঙ্গীরনগররে সাথে মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখেন ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।

১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে যোগ দনে বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক মফিজউদ্দিন আহমদ। ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন।

১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস শুরু হলেও ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত এটি পরিচালিত হয় একটি প্রকল্প আকারে। প্রকল্পের শুরুতে এ বিশ্ববিদ্যালয় মোট ৪টি বিভাগে (অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান) ১৫০ জন ছাত্র ও ২৩ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

সে সময় দেশের সামগ্রিক অবস্থা খারাপ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠমো নির্মাণ, একাডেমিক ও প্রশাসনিক সকব কাজ বন্ধ ছিল। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের শুরু দিকে বিশ্ববিদ্যালয় আবার নবরূপে যাত্রা শুরু করে।  
১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট পাস করা হয়। এ অ্যাক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ‘জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়’। বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর দিকে জমির পরিমাণ ছিল ৭৪৮ দশমিক ১৪ একর। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ৫০ একর জমি দিয়ে দেওয়ায় বর্তমানে এর আয়তন দাঁড়য়িছেে ৬৯৭ দশমিক ৫৬ একর।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ চালু আছে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ), ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং ও ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।

২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১৭ হাজার ৮ জন গ্রাজুয়েট ও ১৪ হাজার ২৫ জন স্নাতকোত্তর, ১৫৪ জন এম.ফিল গবেষক ও ২০০ জন পিএইচডি গবেষক তাদের গবেষণা সম্পন্ন করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

দীর্ঘ ৪০ বছরের পথপরিক্রমায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণাসহ অন্যান্য শিক্ষা কর্মকাণ্ডে গৌরব রচনা করেছে। একটি উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রার প্রাক্কালে দেশের খ্যাতনামা শিক্ষকদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সুনাম বহুলাংশে নির্ভর করে তার শিক্ষা ও গবেষণা কর্মকাণ্ড দিয়ে। বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মুস্তাফা নূর-উল ইসলাম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন। ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বাংলা একাডেমি পুরস্কার, বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবদুল কাইউম বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পুরস্কার লাভ করেন। ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ইতিহাসবিদ ড. আজিজুর রহমান মল্লি¬ক এক সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সফিউল্ল¬¬¬াহ ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এবং থার্ড ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স স্বর্ণপদক অর্জন করেন। রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস মো¬¬ল্লা ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচ.পি. রায় স্বর্ণপদক লাভ করেন। সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অ্যাওয়ার্ড, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স স্বর্ণপদক, ২০০৭ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স- ড. এম ও গণি স্বর্ণপদক লাভ করেন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সলিমউল¬াহ ১৯৮১ সালে এইচ পি রায় স্বর্ণপদক, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স ও টি ডব্লি¬¬উ এস পুরস্কার, ১৯৯৪ সালে ইরানের আল খারাজমী পুরস্কার, ২০০২ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স সিনিয়র গ্রুপ পুরস্কার এবং ২০০৩ সালে ওঝঊঝঈঙ ঝঈওঊঘঈঊ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ১৯৮৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পুরস্কার লাভ পান।

অধ্যাপক ড. মামুন ২০০৯ সালে ঞযব ইবংংবষ জবংবধৎপয চৎরুব এবং ২০০৬ সালে ঞযরৎফ ডড়ৎষফ অপধফবসু ড়ভ ঝপরবহপব (ঞডঅঝ) ও ২০০০ সালে ণড়ঁহম চযুংরপরংঃ গবফধষ ধহফ ঈবৎঃরভরপধঃব লাভ করেন। ড. মামুন ২০০৪ সালে ইধহমষধফবংয অপধফবসু ড়ভ ঝপরবহপব এড়ষফ গবফধষ (ঔঁহরড়ৎ এৎড়ঁঢ়) এবং ১৯৯২ সালে ঞডঅঝ ইবংঃ ণড়ঁহম ঝপরবহঃরংঃ চৎরুব পান।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন এবং মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের ড. আলী আজম তালুকদার ২০০৬ সালে ইধহমষধফবংয অপধফবসু ড়ভ ঝপরবহপব  এড়ষফ গবফধষ (ঔঁহরড়ৎ এৎড়ঁঢ়) লাভ করেন। অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন ২০০৬ সালে ঞডঅঝ ইবংঃ ণড়ঁহম ঝপরবহঃরংঃ চৎরুব লাভ করেন। নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক মো. আকতার মাহমুদ ২০০৯ সালে ট.ঝ. উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ঝঃধঃব অধিৎফ লাভ করেছেন। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান নরসিংদীর উয়ারি বটেশ্বরে ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে প্রাচীন সভ্যতা আবিস্কার করে এ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশকে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭, দ্বিতীয় সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০১, তৃতীয় সমাবর্তন ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে এবং চতুর্থ সমাবর্তন ৩০ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হ। ে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, বীরকন্যা প্রীতিলতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ মহান ভাষা শহীদ আর বিপ্লবী সব নেতা এবং এক কবির নাম দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি ছাত্র হল ও ৮টি ছাত্রী হল রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি হল নির্মাণাধীন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ছোট বড় অনেক স্থাপনা। এখানে রয়েছে দর্শনীয় অমর একুশে যা ভাষা শহীদদের সম্মানে নির্মিত, সংশপ্তক যা মহান স্বাধীনতার পরিচয় বহন করে, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ, জহির রায়হান মিলনায়তন এবং দেশের সবচেয়ে উচু শহীদ মিনার। এছাড়া এখানে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ১২টি লেক। যেগুলো বর্তমানে অতিথি পাখির কল কাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসে আগমন ঘটছে পর্যটকের।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় সংস্কৃতি চর্চার চারণভূমি। প্রয়াত নাট্যকার সেলিম আল দীন ঘোষণা করে গেছেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা আর সংস্কৃতির রাজধানী জাহাঙ্গীরনগর। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি অত্যন্ত সুনিবিড় ছায়াঘেরা পরিবেশে অবস্থিত। আরও বিভিন্ন কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতার দাবি রাখে।

২০০১ সালে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। তৎকালীন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল বায়েস প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৪
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।