ঢাকা: রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাহ আমানত হলে শিবিরের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও শিবির নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
রোববার সন্ধ্যায় এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার, চবি শিবির সভাপতি ইমরুল হাসান ও সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান এ দাবি করেন।
শিবির সেক্রিটারি বলেন, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কোনো উস্কানি ছাড়াই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সাধারণ ছাত্র এবং শিবির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক শিবির নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর ও মারধর করলেও প্রশাসন ছিল নির্বিকার।
ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার ফোন করেও ছাত্রলীগের হামলা থেকে সাধারণ ছাত্রদের উদ্ধার করতে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন শিবির নেতারা।
শিবির নেতারা বলেন, প্রথম দফায় হামলার পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে হল দখল করতে পুনরায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। নির্যাতিত ছাত্ররা পুলিশের কাছে করজোড়ে সহায়তা চাইলেও পুলিশ কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি। উল্টো তল্লাশির কথা বলে সাধারণ ছাত্রদের জিম্মি করে ছাত্রলীগকে হলে প্রবেশ ও হামলা করার সুযোগ তৈরি করে দেয় পুলিশ।
শিবির নেতারা দাবি করেন, ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের উপুর্যপরি গুলি বর্ষণ ও হামলায় নিহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমানত হল শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ও মেরিন সাইন্সের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মামুন হোসাইন। আহত হয়েছেন ২০ জনের অধিক ছাত্র। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৭ জন ছাত্রকে। আহত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিসংখ্যান নিয়ে লুকোচুরি করছে প্রশাসন।
শিবির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত পাঁচ বছরের মতো এ বছরের শুরুতেই চর দখলের মতো হল দখলে মেতে উঠেছে ছাত্রলীগ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত পাঁচ জন শিবির নেতাকে হত্যা করেছে তারা।
ঘটনার সাথে জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহবান জানান ছাত্রশিবির নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৪
সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর