ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষাও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে আটক হয়েছেন দুই পরীক্ষার্থী।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে চার শিফটে মানবিক ও কলা অনুষদের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে শতকরা ৮৫ ভাগ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে উত্তর দেখে পরীক্ষা দেওয়ার সময় দুই ছাত্রকে আটক করা হয়।
ডিজিটাল উপায়ে উত্তর পাচারের এই চক্রের সঙ্গে কিছু অসাধু শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টায় বি ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ১০৯নং কক্ষ থেকে তরিকুল ইসলাম মিরাজ নামে এক ছাত্রকে আটক করেন দায়িত্বরত শিক্ষক।
ওই ছাত্রের মোবাইল ফোনে পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নের উত্তরসহ ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) আসে। এসময় দায়িত্বরত শিক্ষক অধ্যাপক ড. শহিদ মোহাম্মদ রেজওয়ান তাকে হাতে-নাতে ধরে পরীক্ষা বাতিল করেন। পরে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করে তাকে থানায় সোপর্দ করে।
পরে দুপুর ২টার শিফটে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির দোতলা থেকে আরও এক ছাত্রকে একই অবস্থায় আটক করেন দায়িত্বরত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামান। এ সময় আরিফুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থীর মোবাইলেও বাইরে থেকে উত্তর ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে পাঠান হয়। তবে পরীক্ষা বাতিল করলেও ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পরে আরিফুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকদের কাছে স্বীকার করেন তাকে এই ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র এবং বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
এ বিষয়ে বি ইউনিটের পরীক্ষা সমন্বয়কারী ইয়াসিন আলী বাংলানিউজকে বলেন, আটক ছাত্র তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তবে আমরা কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর