সিলেট: এখনও অনিশ্চয়তায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীরা। প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জটিলতার কারণে ভর্তির তারিখ ঘোষণা করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর ৩০ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে আবেদন আহ্বান করা হয়। এতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ ঘোষণার পরই এ পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এছাড়া এ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গণঅবস্থান ও হরতাল কর্মসূচি পালন করে ‘সচেতন সিলেটবাসী’ নামের একটি সংগঠন।
আন্দোলনের মুখে শাবি প্রশাসন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিলে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসেন তারা।
কিন্তু স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষা এখনও আয়োজন না হওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে ভর্তিচ্ছু অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থী। সিলেটের অনেক শিক্ষার্থী শাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চান কিন্তু তারা জানতে পারছেন না ঠিক কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গুচ্ছ পদ্ধতির বিরোধিতা করে আন্দোলনকারী সচেতন সিলেটবাসী সংগঠনের মুখপাত্র জাহেদ আহমদ তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মদিনা মার্কেট ও টুকেরবাজারে পৃথক দুটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৭ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক কোর্টপয়েন্টে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ’
তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সচেতন সিলেটবাসী সংগঠনের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ্ মাসউদ খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর পরিচালনায় এক বৈঠকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার অপেক্ষায় অনেক শিক্ষার্থী চেয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দিকে। এমসি কলেজ থেকে শাবিতে ভর্তিচ্ছু নওরিন জাহান ও অনিরুদ্ধ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেরিতে ভর্তি পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু হয়েছে সেখানে শাবির ভর্তি পরীক্ষাই হয়নি। ’
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অচিরেই পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। তারা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে হবে। কেউ ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করলে সেই দাবি মানতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করেই তারা খুব দ্রুত ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবেন। তবে ঠিক কবে এই পরীক্ষা হবে তা তিনি জানাতে পারেন নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৪