রাবি: শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পরীক্ষার ফিসহ বিভিন্ন বর্ধিত ফি স্থগিত ঘোষণা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে শনিবার ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের লাগাতার ছাত্র ধর্মঘট ঘোষণার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের বর্ধিত ফি বাস্তবায়ন স্থগিত করছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবেন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাবি উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন এ ঘোষণা দেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাবি উপ উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সায়েম উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক সাদেকুল আরেফিন মাতিন প্রমুখ।
তবে বর্ধিত ফি কার্যকর স্থগিত করাকে আন্দোলন দমানোর কৌশল অভিহিত করে তা প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সান্ধ্যকোর্স সর্ম্পকে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স চালুর সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ একাডেমিক। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে সান্ধ্য কোর্স বেশ কিছুদিন ধরেই চালু রয়েছে। হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষদে এ কোর্স চালুকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে সীমিত পরিসরে হলেও মাস্টার্স পর্যায়ে সান্ধ্য কোর্স চালুর দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তও ছিল। বর্তমান প্রশাসন শুধু সেই একাডেমিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা জানান, বর্ধিত ফ্রি স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়নি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কূটকৌশল মাত্র। ফি বাতিলসহ তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
অপরদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনরা রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শনিবার ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের লাগাতার ছাত্র ধর্মঘট চলাকালে তারা এ সিদ্ধান্ত নেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আনসার উদ্দিন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করার কারণে আমরা ভবনে প্রবেশ করতে পারছি না। তাই আমরা সব অনুষদের ডিনরা বৈঠক করে রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
উল্লেখ্য, বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও সান্ধ্য কোর্স বন্ধের দাবিতে ১৯ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, প্রশাসন ভবন ঘেরাও, ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পরও কোনো ধরনের সমঝোতায় না আসায় শিক্ষার্থীরা শনিবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়।
RU VCs Press Conference Script
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ফ্রেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪/আপডেটেড- ১৬২৩ ঘণ্টা