রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সাধারণ সম্পাদক এম,এ সাঈদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মেহেরুল সুজন, গোলাম রাব্বানি, রাবিসাসের সভাপতি শাকির ইকরাম, রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ডালিম হোসেন শান্ত, রাবি রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত মুনির প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। মানববন্ধনে তিন সহকারী প্রক্টর সাখাওয়াৎ হোসেন, হেলাল উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলামকে অপসারণ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ উপ-কমিশনার প্রলয় চিসিমকে ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সম্পুর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ঢাবিসাস), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাবিসাস), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বাকৃবিসাস), শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকেরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে বিবৃতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর ও ক্যাম্পাসে নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
এসময় রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আজাহার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষকরা সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। একই ঘটনার বিচার দাবি করেন।
বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-পুলিশ হামলা চালায়। এতে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এসময় ৯ সাংবাদিকও আহত হন।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া এ ঘটনায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর খালেকুজ্জামানকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার এন্তাজুল হক সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিন্ডিকেট সদস্য ইব্রাহিম হোসেন, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর নজরুল ইসলাম ও ফলিত গণিত বিভাগের প্রফেসর শামসুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪