শাবিপ্রবি: বৃহস্পতিবার ২৪ এ পা দিলো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শোভাযাত্রা, আনন্দ র্যালিসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
১৯৯১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির পথচলা শুরু। ৩২০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি তিনটি বিভাগ নিয়ে তার যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে এর পঁচিশটি বিভাগ রয়েছে। অধ্যয়ন করছেন প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী।
ছাত্রদের জন্য রয়েছে শাহপরাণ হল, দ্বিতীয় ছাত্র হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল, আর ছাত্রীদের দু’টি হল প্রথম ছাত্রী হল, সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হল নিয়ে মোট পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে এখানে।
তবে মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী হলগুলোতে থাকার সুবিধা পাচ্ছে। হলগুলোতে প্রভোস্ট কিংবা সহকারী প্রভোস্টদের জন্য নেই কোনো আবাসিক সুবিধা।
রয়েছে পাঁচটি একাডেমিক ভবন, কম্পিউটারাইজড কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, সিলেটের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য চেতনা-৭১, ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার। যেখানে পৌঁছুতে ৯৭টি সিঁড়ি বাইতে হয়।
প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পার করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি । সম্ভব হয়নি নিরাপত্তা বেষ্টনির মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত করা। ক্লাস রুম সংকট, সেমিনার রুমের অভাবও তীব্র।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নেই সেন্ট্রাল জিমনেসিয়াম, স্টেডিয়াম, সুইমিংপুল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলন কেন্দ্র করতে ‘ইউনিভার্সিটি সেন্টার’ নির্মিত হলেও তা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি।
নেই খাবার সুব্যবস্থা, ছয় মাস থেকে বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া।
এতো কিছুর পরও কম নয় অর্জন।
এই বিশ্ববিদ্যালয়টির এসএমএস প্রক্রিয়া এখন অনুসরণ করছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। একমাত্র বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরিতে রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রম। সম্প্রতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীরা ড্রোন তৈরি চমকে দিয়েছে বিশ্বকে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪