ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২০১২ সালেই ছাত্র-ছাত্রী সমতা আনতে পেরেছে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৪
২০১২ সালেই ছাত্র-ছাত্রী সমতা আনতে পেরেছে সরকার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ২০১৫ সালের মধ্যে শিক্ষ‍াক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের সমতা আনয়ন করার কথা থাকলেও বর্তমান সরকার ২০১২ সালেই সেই লক্ষ্য অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন।  

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি আইপি লাউঞ্জে ব্র্যাক ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ(বিএনপিএস)এর উদ্যোগে ‘মাধ্যমিক স্কুলে কৈশোর প্রজননস্বাথ্য শিক্ষা: উপকরণ, পাঠদান কার্যক্রম, শিক্ষকদের দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

 

ফাহিমা খাতুন বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তার প্রমাণ বর্তমানে  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়া। বর্তমানে নারী ও মেয়েদের শিক্ষা আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।  

 

তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে  কিশোর কিশোরীদের মধ্যে  যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে ব্র্যাক ও বিএনপিএস কর্তৃক প্রকাশিত ‘ বয়স যখন ১০ থেকে ১৯’শীর্ষক চারটি সহায়ক পাঠ্যপুস্তক  অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তাই তাদের এই কাজ আমরা আরো পর্যবেক্ষণ করব এবং কার্যকর প্রমাণিত হলে অবশ্যই কারিকুলামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করবো।  

 

সভায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর উদ্যোগে ২০১৩ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে সংযোজিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কিত বিষয়টি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষকদের দক্ষতা, শিক্ষা উপকরণ এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

 

অক্সফামের সহায়তায় বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন ও এ সময়ের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি সহায়ক পাঠ্যবই প্রকাশিত হয় যা ৬টি জেলার ১০০ মাধ্যমিক স্কুলে বিতরণ এবং পাঠদান করা হয়। এই কার্যক্রমকে সামনে রেখে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ে ৫০০ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক সচেতনতা লাভ করছেন।

 

ব্র্যাক ও বিএনপিএস কর্তৃক প্রকাশিত ‘বয়স যখন ১০ থেকে ১৯’ শীর্ষক ৪টি সহায়ক পাঠ্যপুস্তক যা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে অন্তর্ভুক্তকরণের সুপারিশ করা হয়। এই বইয়ের বিশেষত্ব হলো, এটি সম্পূর্ণভাবে নারী সংবেদনশীল এবং সহজপাঠ্য।  

 

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের  নির্বাহী পরিচালক  রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,  ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি ডিভিশনের প্রোগাম হেড হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক ওমর তারেক চৌধুরী, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মর্জিনা খাতুন, অক্সফাম নোভিবের জেন্ডার ও শিক্ষা প্রোগাম অফিসার এম আই নাহিল, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দীপক কুমার নাগ, প্রমুখ।  

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।