ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাতিল হওয়া ১৭ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, ওই দিন শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় নির্ধারিত কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁসের জন্য ঢাকা, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, রাজশাহী, পাবনা, লালমনিরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
গত ৮ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে সরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৯ লাখ ৬৮ হাজার ১২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
পরীক্ষার আগের রাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
অভিযোগ তদন্তে গত ১২ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়।
কমিটির তদন্তে ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, কক্সবাজার, লালমনিরহাট ও নারয়ণগঞ্জ জেলায় ‘হুয়াংহু’ সেটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ মেলে।
এছাড়াও সাতক্ষীরা, পাবনা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, খুলনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় ‘মেসিসিপি’ সেটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
পরে ওই ১৭ জেলায় পরীক্ষা বাতিল করে মন্ত্রণালয়।
প্রায় ৭ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) আওতায় রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান বাদে দেশের সব জেলা থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় পূর্বের প্রবেশপত্র ব্যবহার করতে পারবেন। প্রবেশপত্র না থাকলে বা হারিয়ে গেলে http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন ও ভ্যানেটি ব্যাগ, ইলেকট্রনিক্স ঘড়ি বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে পারবেন না।
যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৪