ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মেডিকেল কলেজে ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি চালু রাখার দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৪
মেডিকেল কলেজে ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি চালু রাখার দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: মেডিকেল কলেজে  ‘ক্যারি অন‘ পদ্ধতি চালু রাখার দাবিতে সিলেটে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেছে। এ পদ্ধতি বাতিল হলে তাদের মেডিকেল শিক্ষাজীবনে বিঘœ ঘটবে বলে জানান তারা।



বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে প্রায় অর্ধকিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি চালু রাখার দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। নতুন বর্ষের মেডিকেল শিক্ষার্থী ব্যানারে মানববন্ধনে অংশ নেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের ২০১৩-১৪ বর্ষে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাব্বির আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আগে কেউ প্রুফ পরীক্ষায় ফেল করলে তাকে উত্তীর্ণ করে দিয়ে ফেল করা বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেওয়া হতো। একই সঙ্গে উত্তীর্ণ করে দিয়ে পরবর্তী বর্ষে ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হতো। এখন সেই পদ্ধতি তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে, যা মেডিকেল শিক্ষার্থীর পড়ালেখার জন্য হুমকিস্বরুপ।

একই কলেজের নাদিম আহমদ বলেন, কোনো একটি পরীক্ষায় কেউ খারাপ করতেই পারে। যে প্রুফ পরীক্ষায় উত্তীণ হতে পারেনি এতোদিন তাকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করে ফেল করা বিষয়ে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হতো এখন সেটি বন্ধ হলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে।

ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থী সাজিয়া সুলতানা ও প্রমা মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, এ পদ্ধতি চালু হলে আমাদের প্রতি বছর ইয়ার লস হবে। কোনো কারণে একটি ভাইবা খারাপ হলেই আমরা অনুত্তীর্ণ হয়ে পড়বো।

শিক্ষার্থীরা জানান, মেডিকেলের সিলেবাস খুব বেশি এবং পাসের জন্য ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। এজন্য কোনো একটি প্রুফ পরীক্ষায়  অনেক সময় পরীক্ষায় খারাপ হতেই পারে।

নর্থ ইস্ট মেডিকেলে শিক্ষার্থীরা সাগর ও সৌরভ জানান, এ পদ্ধতি চালু হলে শিক্ষাজীবন লম্বা হয়ে পড়বে। পরবর্তী চাকরিসহ রোগীর সেবা দিতে তারা সক্ষম নাও হতে পারেন। তাই অবিলম্বে এটি বালিত করার দাবি তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।