ঢাকা: আদালতের রুলের জবাব না দিয়ে বিচারাধীন বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আগামী ২৮ মে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে। তলব আদেশের পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেন।
রুলে বিচারাধীন বিষয়ে রুলের জবাব না দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিচারাধীন বিষয়ের যৌতিকতা নিরসনের প্রচেষ্টা কেন আদালত অবমাননা ও শাস্তিযোগ্য হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
দুই সপ্তাহের মধ্যে রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ৩০ এপ্রিল এক হিন্দু কর্মচারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর সে বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় জাবি জনসংযোগ পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জাবি জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
জাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সিন্ডিকেট, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক এবং বিজ্ঞপ্তি পাঠানো জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ১৫ মে’র মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আগামী ১৫ মে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এ বিষয়ে জারি করা রুলের জবাব না দিয়ে গত ১৪ মে ডেইলি স্টারে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেয়। তাই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয় এবং তাকে তলব করেছেন আদালত।
‘জাবি কেলেঙ্কারি ॥ জনসংযোগ কর্মকর্তাকেই দায় স্বীকার করে নিতে হলো’ শিরোনামে গত ২৮ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলো।
জাবির এক কর্মচারী (মালি) স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর এ নিয়ে জাবির জনসংযোগ বিভাগ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সংশ্লিষ্টরা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চান। জাবি প্রশাসনও এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, মে ১৫,২০১৪