ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবিতে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষক ধর্মঘট

স্টাফ/বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৪
বাকৃবিতে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষক ধর্মঘট

ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির পরিচালক অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেনকে সম্মানহানি ও লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অনির্দিষ্টকোলের ধর্মঘট শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অনুষদেই ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি।



এদিকে, ওই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান।

সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. হাদী জানান, অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেনের সম্মানহানি ও লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রির্পোট পেশ করতে হবে। একই সঙ্গে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সাময়িক সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে অধ্যাপক ড. হাদী আরো বলেন, অধ্যাপক আক্তার হোসেনকে যারা লাঞ্ছিত করেছে তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

এদিকে, এ ঘটনা তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম.এ সাত্তারকে আহ্বায়ক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন- কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মেসবাউদ্দিন আহমেদ, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শংকর কুমার রাহা, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির ও সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন।

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. এম.এ সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের তিন কার্যদিবস পর্যন্ত সময় দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি।

বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় এক কর্মচারী ও এক নারীসহ কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাবরেটরির পরিচালক অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেন ল্যাবরেটরিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কে বা কারা খবর পেয়ে পরিচালকের চেম্বার ও ল্যাবরেটরির মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।
 
পরে সেখানে ছাত্র বিষয়ক বিভাগের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত হয়। পরে সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের চলে যেতে বললে তাদের সঙ্গে প্রশাসনের লোকদের বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে  ওই কর্মচারী আশরাফ ও নূপুরকে সেখান থেকে বের করে আনা হয় ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।