ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ডাকসু পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪
ডাকসু পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মৌলবাদী ও তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপেক্ষা করে ইসলামের নামে অপচেতনা প্রসার করছে।

এসব শক্তিকে রুখে দিতে এবং ছাত্ররাজনীতিকে আদর্শের ধারায় ফিরিয়ে আনতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শহীদ মধুসুদন দে (মধুদা)’র ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এমন দাবি উঠে আসে জাতীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে মধুদা’র স্মৃতিচারণ সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া, ডাকসুর সাবেক জিএস মাহফুজা খানম প্রমুখ, আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

সভাটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমান ছাত্ররাজনীতির আদর্শচ্যুতিকে পুঁজি করে একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। একাত্তরে যারা এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে সেই জামায়াত শিবির এবং তাদের দোসররা ইসলামের নামে দেশকে অপচেতনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এদেরকে রুখতে হলে ডাকসু পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।

ছাত্ররাজনীতি ভুল পথে চলার জন্য জাতীয় রাজনীতিকে দায়ী করে সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, ‘যে দেশের রাজনীতিই রুগ্ন যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতো তার বাইরে থাকতে পারেনা। অনেক দাবি করেন দেশ বাঁচাও কৃষি বাঁচাও। কিন্তু সবার আগে বাচাঁতে হবে রাজনীতিকে। রাজনীতি না বাচঁলে কিছুই ঠিকমত চলবেনা।

মধুদা সম্পর্কে সেলিম বলেন, মধুদা ছিলেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি সমস্ত সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে থেকে সবসময় প্রগতিশীল রাজনীতিকে সমর্থন করতেন।
৬০’র দশকের ছাত্ররাজনীতিতে মধুদা’র ভূমিকার কথা স্মরণ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, তখন প্রতিটি ছাত্র আন্দোলনেই মধুদা ছিলেন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ছাত্রদের যেকোন ধরনের সহযোগিতায় আমরা সর্বদা তাকে পাশে পেয়েছি।

বর্তমান ছাত্ররাজনীতি তার আদর্শের জায়গা ধরে রাখতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এ ছাত্রনেতা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ।

এর আগে বেলা সোয়া এগারোটার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে অবস্থিত মধুদা’র আবক্ষ মূর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এরপর পর্যায়েক্রমে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শহীদ মধুদা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।