ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে শেখ হাসিনা হল উদ্বোধন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪
জাবিতে শেখ হাসিনা হল উদ্বোধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা হল’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে শিক্ষামন্ত্রী হল চত্ত্বরে একটি ধুপ গাছের চারা রোপন করেন।

এ সময় শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক, উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

চারা রোপন শেষে শিক্ষামন্ত্রী হল পরিদর্শন করে জহির রায়হান মিলনায়তনে হল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষার এই গুণগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ২০১০ সালে দল-মত নির্বিশেষে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য পাঠদানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শিক্ষাধারা বদলাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। গবেষণার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ভর করে। এজন্য ছাত্র-শিক্ষকদের গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, জনসাধারণের কষ্টের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার জনসাধারণের কাছে দায়বদ্ধ। এই দায়বদ্ধতা স্মরণ রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ কালের তপোবন। অমিত সম্ভাবনার এ বাংলাদেশে মেধা মনন দিয়ে অসম্ভবকে জয় করতে হবে।

সভাপতির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বাসস্থান থেকে মেধার উন্মেষ ঘটে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রী এতোদিন কয়েকটি ছাত্রী হলে মানবেতর জীবন যাপন করেছে। শেখ হাসিনা হল নির্মাণের ফলে ছাত্রীদের আবাসন সংকট বহুলাংশে দূর হবে।

উপাচার্য পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে  একযোগে কাজ করার আহবান
জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.  ফরিদ আহমদ।

প্রায় ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ হলে সর্বমোট আসন রয়েছে ৬৪৮ টি। হল গেটে স্থাপণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতিটির উচ্চতা সাড়ে ৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৬ফুট।

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রীদের জন্য ২০৫টি সিট ও ফজিলাতুন্নেসা হল থেকেও ১২৮ জন ছাত্রী এ হলে আসন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ছাত্রী হল থেকেও আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা এ হলে আসন বরাদ্দ পাবে।

এ হল নির্মাণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিদ্যমান আবাসন সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।