ঢাকা: পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজে স্নাতক (ডিগ্রি) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তিতে অবাধ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
কলেজ ও নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ডিগ্রির অনলাইন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মে নোটিশ বোর্ডে মেধা তালিকা টাঙানো হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুরা দু’দিন পর থেকে ভর্তি হতে শুরু করে।
মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ভর্তিচ্ছুদের ডেকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার এজেন্ট ওয়াহিদ, সজল, হাসনাত, রুবেল, আরিফ, নাদিম, শাহাদাত, ফরহাদ নিজেদের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে তাদের ভর্তির আবেদন এবং মার্কশিট জিম্মি করে ভর্তির জন্য পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা দাবি করা করছে।
সেই টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়া শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কলেজ কর্তৃপক্ষ শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন।
বৈঠকের বরাত দিয়ে একাধিক কর্মচারী জানান, ছাত্রলীগ নেতারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। যার জন্য তাদের এভাবে টাকা তুলতে হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিতে ভর্তির সময় বাড়ানোর জন্য অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেছি।
ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয় দাবি করে তারা বলেন, কিছু প্রতিপক্ষ তাদের ছোটভাইদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নুরুন্নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪