ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় আরও দু’জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন সাভার থানার এসআই গোবিন্দ আকর্ষণ ও সুরতহাল প্রতিবেদনের সাক্ষি এবিএম ফয়সাল।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক আগামী ২৭ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এ মামলায় ৩৭ সাক্ষির মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার কাঠগড়া থেকে চার আসামি খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও মাহবুব আকরাম পালিয়ে যায়। তাদের ছাড়াই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
অভিযুক্তরা হলেন- খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু, খান মো. রইছ, জাহিদ হাসান, ইসতিয়াক মেহবুব অরূপ, মাহবুব আকরাম, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি ও মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ।
আসামিদের মধ্যে মাহবুব আকরাম ও নাজমুস সাকিব ওরফে তপু ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন রাতেই রাজধানী ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান জুবায়ের।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি তদন্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মীর শাহীন শাহ পারভেজ ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৪