ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি শিক্ষার্থীর ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৪
ঢাবি শিক্ষার্থীর ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বুধবার রাত সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আকস্মিক মারা গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মনির হোসেন।


ঠিক কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা বলতে পারছে না তার পরিবার।

তবে যে ডাক্তারের অধীনে মনির ভর্তি ছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে তার বক্তব্যও পাওয়া যায় নি।

মনির বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নরসিংদির শিবপুরে।

মনিরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ১৭ তারিখে তাকে কুকুরে কামড়েছিল। সেসময় এতে তার কোনো সমস্যা হয়নি। গত রোববার হঠাৎই অসুস্থ
হয়ে পড়েন। এরপর তাকে রাজধানীর মহাখালীর একটি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করার পর ডাক্তাররা নিশ্চিত করেন তার কুকুরের কামড়জনিত কোনো সমস্যা নেই।

মনিরের বড় ভাই ঢাবির ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী  আ. জলিল বাংলানিউজক বলেন, ডাক্তার বললেন সব কিছু স্বাভাবিক আছে। তবুও কেন হঠাৎ আমার ভাই মারা গেলো কিছুই বুঝলাম না।

তবে মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগের কথা ডাক্তার রোগীর ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছেন বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, মনিরকে গত মাসের ১৭ তারিখে কুকুর কামড় দিয়েছিল। কিন্তু তাতে তিনি সেসময় অসুস্থ হন নি। গত রোববার অসুস্থ বোধ করলে তাকে মহাখালীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় জলাতঙ্কের জীবাণু পরীক্ষার জন্য।

কিন্তু সেখানকার ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো জীবাণু পান নি বলে জানান। তারা রোগীকে ঢামেকে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন।

ডাক্তারের কথামতো রোগীকে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানের ডাক্তারও তাকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তারপর ওইদিনই মনিরকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে ডাক্তার শেখর কুমারের অধীনে ভর্তি করা হয়। এরপর রোগীর ইউরিন ও রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তবে এগুলো স্বাভাবিক আছে বলে জানান ডাক্তার।

ঢামেকের চিকিৎসকরাও নিশ্চিত করেন যে তার রক্তে কোনো জলাতঙ্কের জীবাণু পাওয়া যায় নি। কিন্তু রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক না হলে ডাক্তার এমআরই ও এমটি টেস্ট করাতে বলেন।

সেগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ীই রোগীর চিকিৎসা করা হবে বলে জানান ডাক্তার।

কিন্তু এমআরআই ও এমটি টেস্টের রিপোর্ট আসার আগেই মনির মারা যান। বুধবার রাতে হঠা‍ৎ করেই মাথায় যন্ত্রণাবোধ করেন মনির। এ সময় পাশে ছিলেন তার বড় ভাই জলিল।

জলিল বলেন, ঢামেকের জরুরি বিভাগে ভর্তির পর থেকে ডাক্তার যে ওষুধ দিয়েছেন সবই খাইয়েছি। যখন যা করতে বলেছেন সবই করেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখি আমার ভাই আর চোখ খোলে না। তারপর আর খুললই না।

মনিরের মরদেহ নরসিংদির শিববুর উপজেলায় তার নিজ বাসভবন নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এএম আমজাদের কাছে কোনো খোঁজ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকের কাছেই প্রথম শুনেছেন বলে জানান।

তবে মৃত্যুর খবর শুনে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের জানালে হয়তো আরও ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতাম।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।