ঢাকা: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল বৃহস্পতিবার বিকালে প্রকাশ করা হবে।
দুপুরে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম বাংলানিউজকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের ওয়েব সাইটেরও ফল পাওয়া যাবে।
ইতোমধ্যে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে ফলাফল ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট আটটি সাধারণ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
এবার গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন।
শিক্ষার্থীরা টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ১৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। পুনঃনিরীক্ষার জন্য এবার আটটি সাধারণ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডে দুই লাখ ১৫ হাজার ৩৬০টি পত্রের আবেদন জমা পড়েছে।
প্রতিটি বিষয় বা পত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষার্থীরা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন।
অকৃতকার্য হওয়া, প্রত্যাশার চেয়ে কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীরাই এই আবেদন করেছে।
সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এখানে ঢাকা বোর্ডে ৭০ হাজার পত্রের জন্য আবেদন করেছেন পরীক্ষার্থীরা।
যশোর বোর্ডে ২৮ হাজার ১০টি, রাজশাহী বোর্ডে ২৭ হাজার ৮৮২টি, চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৪ হাজার ৮০টি, কুমিল্লা বোর্ডে ১৭ হাজার ৩৮২টি, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৬৬৮টি, সিলেটে ৯ হাজার ৭৬০টি এবং বরিশাল বোর্ডে নয় হাজার ৫৮৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে সাত হাজার ৪০৬টি এবং ডিআইবিএস-এ ৫৬৪টি আর মাদ্রাসা বোর্ডে জমা পেড়েছে ছয় হাজার ২২টি আবেদন।
বিভিন্ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, নম্বর গণনা, উত্তরপত্রের ভিতরের নম্বর কভার পেজে তুলতে ভুল হয়েছে কি-না, কোনো প্রশ্নে নম্বর বাদ পড়েছে কিনা- তা পুনঃনিরীক্ষণে দেখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৪, আপডেট ১৩২০ ঘণ্টা
** পুনঃনিরীক্ষণে কোটি টাকার বাণিজ্য!