বরিশাল: বহিরাগতদের প্রভাব বিস্তার রোধে বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
একই সঙ্গে রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন ও চার দফা দাবিতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে তারা।
শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের একাংশ।
ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের নেতা লিটন বিশ্বাস জানান, শনিবার রাতে ছাত্রলীগের সোহাগ ও আদিব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় সোহাগ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আদিব ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
সংঘর্ষে আহত সৌরভ, পার্থ, সঞ্জিব, আসলামসহ সাত শিক্ষার্থী শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধ ও ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ক্যাম্পাসে মান্ববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
দুপুর ১২টার দিকে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ডা. কুমুদ রঞ্জন বালার কাছে চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো- বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি প্রদান, হোস্টেলের ডাইনিং ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধ করা এবং বাউফল কেন্দ্রীক ছাত্র রাজনীতি প্রতিহত করা।
এসব দাবি বাস্তবায়নে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ অল্প সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীরা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা বর্জন করবে বলে জানান কলেজ ছাত্রলীগের অপর নেতা যায়েদ বিন বশার আদিব।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ডা. কুমুদ রঞ্জন বালা জানান, শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনায় তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং কিছু দাবির কথা জানিয়েছেন। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।
বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪