বগুড়া: একে তো জরাজীর্ণ ভবন, তার উপর আসন সংকটে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ধুন্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে পাঠ নিচ্ছে। দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ সংকট আরো প্রকট হয়েছে।
রোববার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, ১৯০৬ সালে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। সে সময় শিক্ষকদের জন্য ১টি অফিস কক্ষ ও ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানের জন্য ৩টি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল।
তথন থেকে বিদ্যালয়টি বেশ সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনমতো ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পিইডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় দুইকক্ষ বিশিষ্ট আলাদা একটি ভবণ নির্মাণ করা হয়। ভবনের একটিতে অফিস রুম অন্যটিতে শ্রেণীকক্ষ।
এদিকে, সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ টিনসেট ভবনটি বেহাল অবস্থায় পরে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করে।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৯৩ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ নেই, বরং ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঠাসাঠাসি করে ক্লাস করার কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে খোলা আকাশের নিচে পাঠ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ফলে নানাভাবে এখানে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ধুন্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহমত উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের ক্লাসের জন্য বেঞ্চসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের সংকট রয়েছে। তাছাড়া পুরাতন টিনসেটের শ্রেণিকক্ষগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা দরকার।
নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম স্কুলের অবকাঠামোর নাজুক অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে সরকার একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেছে।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আরও দুইটি একাডেমিক ভবন প্রয়োজন উল্লেখ করে আব্দুল কাইয়ুম জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪