ঢাকা: যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার রাতে সিন্ডিকেটের জরুরি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে ক্লাসরুমে আড়াই ঘণ্টা ও পরে শিক্ষকের নিজের অফিস কক্ষে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত দুই দফা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক ড. সাইফুল ইসলাম সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রেজিস্ট্রার বরাবর অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পরীক্ষার খাতায় নম্বর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তৃতীয় বর্ষ ৬ষ্ঠ বর্ষের ওই ছাত্রীকে নিজের রুমে ডেকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
পরে ওই ছাত্রী এক পর্যায়ে কান্নাকাটি শুরু করলে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম দরজা খুলে দেন।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রী বিভাগে লিখিত অভিযোগ দেন এবং অন্য শিক্ষকদের ঘটনাটি অবহিত করেন। এরপরও বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তারা শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে আজীবন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টায় কলাভবনের ৬০০৬ নম্বর রুমে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ক্লাস নিতে গেলে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন।
পরে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ এম আমজাদ এসে তাকে উদ্ধার করে তার নিজের কক্ষে নিয়ে যান। এরপর সেখানেও রাত নয়টা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
তবে আনীত অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে এ সব করা হয়েছে।
এরপর সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা বসে। এ সভাতেই শিক্ষক ড. সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাময়িক বরখাস্ত ও অভিযুক্ত শিক্ষকের অব্যাহতিপত্র দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভিসি বলেন, নৈতিক স্খলনের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪/আপডেটেড: ০২৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪