ঢাকা: বৃহস্পতিবার ও রোববার দিনব্যাপী জামায়াতের ডাকা হরতালে বিপাকে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছু প্রায় ৯২ হাজার ভর্তিপরীক্ষার্থী।
প্রথম হরতালের মাত্র একদিন পর শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে ঢাবির ‘খ’ এবং বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে জবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীন ইউনিট দুটিতে ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে অংশ নেবেন প্রায় ৪১ হাজার ৯৬০ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে অংশ নেবেন প্রায় ৫০ হাজার ৫৫১ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী।
এদিকে, পরীক্ষার মাত্র একদিন আগে হরতাল আহ্বান করায় ভর্তি পরীক্ষাও পেছাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ। কারণ, এরই মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আসন বিন্যাস ও তা প্রকাশ করা হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাবি ও জবি কর্তপক্ষ নিশ্চিত করেছে ‘খ’ এবং ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা পূর্বঘোষিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশেরই ঢাকা আসার উপায় বাস ও ট্রেন। ট্রেনের আসন সংখ্যা সীমিত ও টিকেট সংকট প্রকট।
তাছাড়া দেশের অনেক অঞ্চলেই রেল যোগাযোগ না থাকায় বাসই তাদের এক মাত্র ভরসা। তাই, শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারা না পারা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে হাজারো পরীক্ষার্থীর।
এ ব্যাপারে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, একটা পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাত্র একদিন আগে এসে তা পেছানোর কোনো সুযোগ থাকে না।
হাজার হাজার পরীক্ষার্থীকে বিপাকে ফেলে অবিবেচকের মতো জামায়াতের হরতাল আহ্বান করার কঠোর সমালোচনাও করেন তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ‘আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ’ দেন। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতি ও রোববার দিনব্যাপী হরতাল আহ্বান করে জামায়াতে ইসলামী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪