জাবি: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ওই মারধরে মদদ দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ) ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক মেডিকেল অফিসার (কিডনি বিশেষজ্ঞ) ভর্তি পরীক্ষার্থীয় এক অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় জাহানারা ইমাম হলের সামনে অসচেতনভাবে চিকিৎসকদের প্রাইভেটকারটির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের (২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ) ছাত্র রুবেল রানার প্রাইভেটকারের ধাক্কা লাগে।
এ ঘটনায় বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে চিকিৎসকদের গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পেটায় রুবেল রানা। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের ছাত্র মেহেদী হাসান মারধরে মদদ দেন।
নিজেদের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসকরা মাফ চাইলেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাননি। পরে জরিমানা আদায়ের জন্য দুই চিকিৎসককে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায় দুই ছাত্র। সেখান থেকে প্রথমে এক চিকিৎসককে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের পরিচয় পেয়ে এবং ঘটনা শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা শিক্ষার্থী রুবেল রানা ও মেহেদী হাসানকে আশুলিয়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে সমঝোতার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা শুনেনি। পাশ থেকে গাছের ডাল ভেঙে বেধড়ক পিটিয়েছে। তাদের পা ধরে মাফ চাইলেও তারা আমাদের কথা শুনেনি। বরং আমাদের বিচার করার জন্য প্রক্টর অফিসে ডেকে নিয়ে গেছে। তবে আমরা তাদের মাফ করে দিয়েছি। ’
মারধরের কথা স্বীকার করে রুবেল রানা দুঃখ প্রকাশ করেন।
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আশুলিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ’
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকরিয়া বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪